ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সভাপতি-ঠিকাদারের দ্বন্দ্বে স্কুলে ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ

রাজাপুরে বিদ্যালয়ের ক্লাস বসে সিঁড়ির নিচে

রাজাপুরে বিদ্যালয়ের ক্লাস বসে সিঁড়ির নিচে

ঝালকাঠির রাজাপুরে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কাজের ঠিকাদারের দ্বন্দ্বে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় দেড় বছর থেকে বন্ধ রয়েছে। এতে ক্লাসরুম না থাকায় শিক্ষকরা পড়েছে বিপাকে। ফলে বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের সিঁড়ির নিচসহ পাশে একটি বাজারের খোলা টলঘরে ক্লাস বসাতে হচ্ছে। উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের নিজামিয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এমন অবস্থা। অফিসসূত্রে জানা গেছে, মেসার্স চাঁন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের চার কক্ষবিশিষ্ট একতলা একটি ভবন নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায়। পরে নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আরো ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়। কাজটি ২০২২ সালের আগস্ট মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন মাটি কাটার শুরু হয়েই থেমে গেছে। বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন ভেঙে ২০২২ সালের ২০ মার্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ মাটি কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। নির্মাণসামগ্রীও আনা হয়। কিন্তু নির্মাণ কাজের শুরুতেই মানেজিং কমিটির সভাপতির সঙ্গে কাজের স্থানের বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ সঞ্চালন লাইন সরানো নিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাধে এবং কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই বিদ্যালয়ের দুইটি পুরাতন ক্লাসরুম পাটিশন দিয়ে চারটি ক্লাসরুম একটি সিঁড়ির নিচে ও তিনটি বাজারের টলঘরে ক্লাস বসে। অফিসরুম করা হয়েছে পাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যে। সেটি যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। ক্লাসের ভালো পরিবেশ না থাকায় দিনে দিনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ে ২২৪ জন শিক্ষার্থী ছিল কমতে কমতে বর্তমানে ১২০ জন রয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থী লামিয়া, আলবাকি, লাইসা ও নয়ন জানায়, টলঘরে খোলা জায়গায় ক্লাস করতে খুবই অসুবিধা হয়।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গথে রোদের তাপ বেড়ে যায় তখন আর বসা যায় না। আবার বৃষ্টি এলে পানিতে বইখাতা ভিজে যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুন-অর-রশিদ জানায়, স্কুলের পুরোনো ভবন ভেঙে কাজ শুরু করলেও সভাপতি-ঠিকাদারের দ্বন্দ্বের কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে নতুন ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ভবন না থাকায় সামনে নতুন বছরে নতুন ক্লাসে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারব না।

তাই দ্রুত ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. জাহিদুল আবেদীন জানান, খেলার মাঠ ছোট করা যাবে না আর কাজের মান ঠিক রেখে কাজ করতে বলাকে কি দ্বন্দ্ব বলা হয়। ঠিকাদারের কাজের মান খুব খারাপ, সে কাজের জন্য যেসব নির্মাণসামগ্রী এনেছে তা নিম্নমানের। বিদ্যুতের খুঁটি সরাতে যে খরচ হবে তা ঠিকাদারকেই বহন করতে হবে আমরা তাকে সহায়তা করব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত