মাধবপুরে রাস্তার পাশে ময়লার ভাগাড়

প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  হীরেশ ভট্টাচার্য্য হিরো, মাধবপুর (হবিগঞ্জ)

সড়কের পাশে উন্মুক্ত জায়গায় খালে, রাস্তার পাশে, গণবসতিপূর্ণ এলাকায় ময়লা ফেলা হচ্ছে। বছরের পর বছর আবর্জনা ফেলায় এসব জায়গায় ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থা হবিগঞ্জের পৌরসভা এলকায়। জলাবদ্ধতার সংকট নিরসন, মশার উপদ্রব, ব্যবস্থাপনা না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। মাধবপুর পৌরসভা কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে মাধবপুর পৌরসভার প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৯৮৭ জন। ২০১২ সালে এটি ‘ক’ গ্রেটে উন্নতি হয়। কিন্তু প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভায় শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য কোনো নির্দিষ্ট স্থান করা হয়নি। এর কারণে প্রতিদিন পৌরসভার ময়লা শহরের হাসপাতাল রোড নতুন রাস্তার পাশে, স্টেডিয়ামের পাশে, মৌলানা আসাদ আলী ডিগ্রি কলেজের সামনে ফেলা হচ্ছে। জায়গা সংকটের কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। সরেজমিন দেখা গেছে, শহরের হাসপাতালের নতুন রোড, রিকশাস্ট্যান্ডের পাশে খালে এবং কাটিয়ারা মাছের আড়ংয়ের পাশেসহ সোনাই নদীতে পৌরসভার যাবতীয় ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে। আবাসিক এলাকা জনবসতিপূর্ণ স্থানের এসব আবর্জনার পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। পথচারীরা নাকে কাপড় ঢেকে চলাচল করছেন। জলাবদ্ধতার সংকট নিরসন, মশার উপদ্রব, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় ক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। শহরের হাসপাতাল এলাকায় কথা হয় দীপক ভট্টাচার্য্যরে সঙ্গে। তিনি এই এলাকার চাকরির সুবাদে বসবাস করেন। তিনি বলেন, ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। প্রতিদিন এখানে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্জ্যসহ সব ময়লা ফেলা হচ্ছে। এসব ময়লা আগুনে পোড়ানো হচ্ছে। এর ধোঁয়া আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতাল রোড এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ রায় বলেন, কাঁচা বাজারের প্রতিদিনের নষ্ট তরিতরকারি, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্জ্যসহ ভিবিন্ন রকমের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে এসব সড়কের পাশে, নদীতে। খুব কষ্ট হয় চলাচল করতে। কয়েক বছর ধরে এ অবস্থা। কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মশার উপদ্রব তো আছেই। মাধবপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ হাবিবুর রহমান মানিক এ প্রসঙ্গে জানান, একটি পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনের জন্য ৭ একর ৪০ পয়েন্ট জায়গা দরকার। কিন্তু এই পৌরসভাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মাত্র ২ একর, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই ছোট।