ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আবাসিক প্রকৌশলীর অবহেলায় দুই বছরেও বন্ধ হয়নি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ

আবাসিক প্রকৌশলীর অবহেলায় দুই বছরেও বন্ধ হয়নি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ

উপজেলার শিমরাইল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন আবুল হাসেম। আশির দশকে কৃষক সমবায় সমিতির মাধ্যমে বিআরডিবি থেকে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে আবুল হাসেম মারা গেলে তার সন্তান মো. আবুল ফয়সাল সেচ পাম্প দেখাশোনা করা শুরু করেন। কিন্তু এর আশপাশে পরবর্তীতে বেশ কিছু অবৈধ সেচ স্থাপন হয়। এতে গভীর নলকূপটির আবাদি জমির পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। বিপাকে পড়েন গভীর নলকূপের মালিক। এক সময় বিদ্যুৎ বিল দেওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়ায় তার পক্ষে। বাধ্য হয়ে ২১/১২/২১ তারিখে অভিযোগ করেন সেচ কমিটি বরাবর। অভিযোগে সেচ পাম্পের আওতাধীন নতুন পাম্পগুলো পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন ভুক্তভোগী আবুল ফয়সাল। বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী বরাবরও অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করেন। অভিযোগ করেও দীর্ঘদিন কোনো সুরাহা হয়নি। পরে একসময় প্রতিবেদন প্রকাশ করে অবৈধ ঘোষণা করা হয় ফারুক মিয়ার নতুন পাম্প। সরেজমিন দেখা যায়, নতুনভাবে স্থাপিত অবৈধ পাম্পে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। এমনকি সরাসরি ট্রান্সফরমার থেকে নেয়া হয়েছে এই সংযোগ। অবৈধ পাম্পে কীভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ গেল জানতে চাইলে আবাসিক প্রকৌশলী ইমতিয়াজ মামুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। ভুক্তভোগী আবুল ফয়সাল বলেন, আমি প্রায় দুই বছর ধরে দৌড়াদৌড়ি করছি কিন্তু কোনো সুরাহা হচ্ছে না। অবৈধ পাম্পগুলোর লাইন বিচ্ছিন্ন করার কথা বলে মাসের পর মাস সময়ক্ষেপণ করেছেন আবাসিক প্রকৌশলী। এক পর্যায়ে তিনি জানান কোর্টের স্ট্যে অর্ডার রয়েছে কিন্তু অর্ডারের কাগজ চাইলে তিনি দিতে ব্যর্থ হন। আবাসিক প্রকৌশলী বলার আরো ২/৩ মাস পর কোর্টের স্ট্যে অর্ডার আসে। চাইলে বহু আগেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যেত কিন্তু তিনি তা করেননি। সেচ কমিটির কথার কোনো গুরুত্বই তিনি দেননি। কোর্টের মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগ নাগাদ কোনো কিছু না করতে নিষেধ করলেও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পুরোনো পাম্প থেকে ৩৬৫ ফুট টানা তারের মাধ্যমে নতুন পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে, যা আইন বহির্ভূত। উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, খলিলুর রহমান বাচ্চুর সেচ লাইনটি অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। বর্তমানে পাম্পটিতে কোর্টের স্ট্যে অর্ডার রয়েছে। এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে এমন শঙ্কায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত