ঠাকুরগাঁওয়ের নারীরা বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতনতায় অনেক এগিয়ে যাচ্ছেন। একটা সময় নারীরা শুধু সাংসারিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করলেও এখন চিন্তার পরিবর্তন ঘটেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা এগিয়ে যাচ্ছে। ঘরের বাইরে নানা কর্মে নারীদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তেমনিভাবে নিজ পেশা ও সাংসারিক কাজ সেরে নিজেদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় এগিয়ে যাচ্ছেন এ জেলার নারীরা। ব্যায়াম করি, সুস্থ থাকি এই নিয়মে এগিয়ে রয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের নারীরা। শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। আর নারীরা এখন নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরো বেশি সচেতন হচ্ছে।
নারীরা জানান, সুস্থ থাকতে ও শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নানা রকম শারীরিক ব্যায়াম করছেন তারা। স্বাস্থ্য সচেতনতায় মনোনিবেশ বাড়াতে লেডিস জিমে ভর্তি হয়েছেন অর্ধশতাধিক নারী। জিম, ইয়োগা, অ্যারোবিক্সসহ নানাভাবে করছে শারীরিক কসরত। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম নিজস্ব সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি কাজের প্রতি আরও প্রফুল্লতা বয়ে আনছে তাদের এমনটি জানান তারা। জিমে আসা সুমী বেগম বলেন, বাসার কাজ করতেই সময় শেষ হয়ে যায়। শরীরের প্রতি সেভাবে খেয়াল করা হয় না। কাজ করলে তো সেভাবে শরীরের ব্যায়াম হয় না। জিমে এসে বিভিন্ন ব্যায়াম করার মাধ্যমে কোমরের ব্যথাসহ বিভিন্ন ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শরীরও সুস্থ থাকছে। জিম সদস্য চিকিৎসক উম্মে কুলসুম বলেন, বাসার কাজ, তারপরে বসে বসে চিকিৎসা দেওয়া। এভাবে শরীরের ওজন বেড়ে যাচ্ছে সেই সঙ্গে কোমর ব্যথা তো আছেই। এখন জিম করার পরে অনেকটাই ভালো লাগছে। আমরা নারীরা সংসার দেখছি, চাকরি করছি সেই সঙ্গে নিজেদের শরীরও ফিট ও সুস্থ রাখছি। ইয়োগা করলে মন অনেক ভালো থাকে, পড়ালেখায় মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এভাবে বলছিলেন জিম সদস্য শিক্ষার্থী মিম। তিনি বলেন, এখানে এসে ইয়োগা করার পরে মাথা থেকে আজেবাজে চিন্তা দূর হয়ে যায়। এছাড়াও অ্যারোবিকস করলে মন ও শরীর দুটোই অনেক ভালো থাকে। ঠাকুরগাঁও লেডিস জিম অ্যান্ড ইয়োগা ট্রেইনার পূজা বলেন, বাসার কাজ, কর্মস্থলের কাজের পাশে নিজেদের শরীর ঠিক রাখতে তারা নিয়মিত জিম করছেন। এছাড়াও শরীরের ওজন কমানোর জন্য জিম করে সুফল পাচ্ছেন তারা। সুস্থ থাকতে ও সব দিক গুছিয়ে রাখতে হলে আগে নিজেদের শরীর ঠিক রাখতে হবে।
