শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হাড় ভেঙে দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আরএম সেলিম শাহী, ঝিনাইগাতী প্রতিনিধি

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আঙুলের হাড় ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের হলদীবাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীর নাম রাকিবুল হাসান (১৪)। রাকিবুল হলদীবাটা মেইলগেইট এলাকার ছামিউলের ছেলে এবং হলদীবাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত শিক্ষক জুবাইদুল হক হলদিবাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় সহকারী শিক্ষক (বিএসসি) হিসেবে কর্মরত। ঘটনাটি ঘটে ২৩ জুলাই উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের হলদীবাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। আহত রাকিবুল জানায়, ঘটনার দিন অংক লিখে নিয়ে মাদ্রাসায় না আসায় মাদ্রাসার বিএসসি শিক্ষক জুবাইদুল লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তার ডান হাতের আঙুলের হাড় ভেঙে দেয়। পরে রাকিবুলের বাবা ছামিউল তাকে ব্যথার ওষুধ দেন। কিন্তু এতে ব্যথা না কমলে এক্স-রে করে দেখা যায়, রাকিবুলের ডান হাতের আঙুলের হাড় ভাঙা। বর্তমানে রাকিবুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে শিক্ষক জুবাইদুলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এছাড়াও শিক্ষক জুবাইদুলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলায় এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান হলদিবাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২০০৪ সালে মো. জুবাইদুল হক বিএসসি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। মাদ্রাসায় যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান ফাঁকি দিয়ে অন্যত্র ক্লাস নেওয়া, প্রাইভেট-কোচিং বাণিজ্য, মাদ্রাসার সময় ফাঁকি দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

হলদিবাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার আশপাশের এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, হলদিবাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা সুপার ওই শিক্ষকের ভগ্নিপতি হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি এসব অনিয়ম করে আসছেন। ঝিনাইগাতী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফার কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিকবার অভিযোগও হয়েছিল। গৌরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম পলাশ জানান, ঘটনাটি মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে। হলদিবাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার সুলতান আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। এ বিষয়ে লেখালেখি না করাই ভালো। ঝিনাইগাতী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, বারবার ফোন রিং হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।