চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস পদ্মা-মেঘনা নদীর চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় জাটকা নিধন প্রতিরোধে চাঁদপুরে জেলা টাস্কফোর্স কমিটি সাফল্য অর্জন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জুলাই ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্স জাতীয় মৎস্য পদক ২০২৩ অর্জন করে। গতকাল দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলনকক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্সের জাতীয় মৎস্য পদক ২০২৩ অর্জন বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় লিখিত তথ্যে জানানো হয়, নিষিদ্ধ সময়ে জাটকা নিধন প্রতিরোধে জেলা টাস্কফোর্স কমিটি ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলেন। নৌর্যালি, লিফলেট বিতরণ, পোস্টার, জেলেদের সঙ্গে সচেতনতাসহ মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। জাটকা নিধন প্রতিরোধে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ৩০১ মামলায় ৩৪৯ জন জেলে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়। এছাড়াও জেলেদের থেকে ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জাটকা নিধন প্রতিরোধে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ৭৫ লাখ ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৫২টি পুরাতন নৌকা জব্দ করা হয়। এ অভিযানে জব্দকৃত প্রায় ৮১৩ কেজি জাটকা ইলিশ জেলার এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান। তিনি বক্তব্যে বলেন, এই পদক কোনো ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এ পদক চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্সের এবং চাঁদপুরবাসীর। ইলিশের বাড়ি নামে খ্যাত এই নামটির যেন মান থাকে সেই আশাই করছি। আমাদের মৎস্য অভিযানের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আমাদের মৎস্য অভিযানকে সফল করেছি।
নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ মাছ খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। যারা প্রকৃত জেলে নয়, তাদের চিহ্নিত করে তালিকা করতে হবে। সদরের আনন্দবাজার থেকে নিবন্ধিত জেলের মধ্যে যারা জেলে নয় তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও যেসব প্রকৃত জেলেরা তালিকায় নেই তাদের আওতাভুক্ত করা হবে।