নিষিদ্ধ নোট গাইডে ভরপুর শ্যামনগরের বইয়ের দোকান

প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

এসএসসি পরীক্ষারর ফল প্রকাশের সাথে সাথে শ্যামনগরের বইয়ের দোকানগুলো সরব হয়ে উঠেছে তারা নতুন নতুন চড়কদার ব্যানার তৈরি করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। লেকচার, পঞ্জেরী, পপি, ফুলকুড়ি, নিউটনসহ নানা বইয়ের প্রচার দিচ্ছে। বাজারে চলছে নিষিদ্ধ নোট ও গাইডের রমরমা ব্যবসা। চলতি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের টার্গেটে রেখে ২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণদের গাইডের প্রতি আকৃষ্ট করতে ইতিমধ্যে প্রচার শুরু করেছে। শ্যামনগরের বইয়ের দোকানে অবৈধ নোট গাইডে সয়লাব হয়ে গেছে। শ্যামনগর সদর, নঁওয়াবেকী, নুরনগর, কাশিমাড়ী, মুন্সীগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন বইয়ের দোকানে প্রকাশ্যে বেচাকেনা চলছে নিষিদ্ধ এসব নোট বুক। উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের সামনে প্রকাশ্যে বেচাকেনা হলেও কোনো তৎপরতা নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নোট বুক ও গাইড নিয়ে কঠোর হওয়ার আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সৃজনশীল শিক্ষক এবং আধুনিক ও উন্নত সৃজনশীল পাঠ্যবই প্রস্তত করা প্রয়োজন। কাশিমাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আঃ হাই বলেন, নোট বুক ও গাইডের চাহিদা তখনই কমবে, যখন পাঠ্যবইগুলো অভিজ্ঞদের দিয়ে সম্পাদনা করে আধুনিক উপায়ে প্রণয়ন করা হবে। আইনের বাস্তবায়নে তখনই কঠোর হওয়া উচিত হবে, যখন স্কুলের সকল শিক্ষক সৃজনশীল পদ্ধতিতে পুরোপুরি প্রশিক্ষিত হবে।’ অপরদিকে অভিযোগ রয়েছে আইন করে নোট বুক নিষিদ্ধ করা হলেও এখন ও নগরীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নোট বুক কিনতে উদ্বুদ্ধ করছেন। ক্লাসে নির্দিষ্ট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নোট গাইড কিনতে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। শ্যামনগরের ভুরুলিয়ার বাসিন্দা সজল কুমার জানান, তার ছেলে ভুরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ে। তাকে শ্রেণী শিক্ষক বলেছেন লেকচার নোট গাইড ভালো। লেকচার প্রকাশনের নোট গাইড কিনতে ওই শিক্ষক নির্দেশনা দিয়েছেন। জানা গেছে, শ্যামনগরে প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরে প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী চলতি বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। কোমলমতি এসব শিক্ষার্থীর শিক্ষাগ্রহণ ও শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করার জন্য অসাধু চক্র মুনাফা ও কমিশনের বিনিময়ে গড়ে তুলেছে নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বইয়ের বিশাল বাজার।