নেসকো উপকেন্দ্রে শর্টসার্কিট

নওগাঁ-বগুড়ায় সংকটে বিদ্যুৎ সরবরাহ

প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

নওগাঁয় নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) উপকেন্দ্রের প্যানেল বোর্ডে আবারো শর্ট সার্কিট হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি তার পুড়ে যাওয়ায় গত সোমবার দুপুর দেড়টা থেকে নওগাঁ ও পার্শ্ববর্তী বগুড়া জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, যা চরম দুর্ভোগে ফেলেছে স্থানীয়দের। এর আগে ২৫ জুলাই একই সমস্যায় টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল এই উপকেন্দ্রের ১৪টি ফিডারে। জানা যায়, নেসকোর ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের প্যানেল বোর্ডে শর্টসার্কিটে কন্ট্রোল সিস্টেমের বেশ কয়েকটি তার পুড়ে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) টানা ১০ ঘণ্টা নওগাঁ ও পার্শ্ববর্তী জেলা বগুড়ার বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। পরে রাজশাহী থেকে নেসকোর প্রটেকশন টিম এসে ত্রুটি সারিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করে। ওই মুহূর্তে চরম বিপাকে পড়েছিল এ দুই জেলার বাসিন্দারা। এরপর গত পাঁচ দিন মাঝেমধ্যে লোডশেডিং হলেও একটানা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তবে সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুর দেড়টা বাজা মাত্রই আবারো সেই দুর্বিসহ পরিস্থিতিতে পড়তে হয় নওগাঁ নেসকোর আওতাধীন ১৪টি ফিডারের গ্রাহকদের। প্রথমে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটকে গ্রাহকরা স্বাভাবিক লোডশেডিং মনে করলেও দুপুর গড়াতে লাগলে উপকেন্দ্রে আবারো শর্টসার্কিটের ঘটনাটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নওগাঁ ও পার্শ্ববর্তী বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলা এবং সান্তাহার পৌরসভায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এলাকার বাসিন্দারা। নওগাঁ শহরের হাট নওগাঁ মহল্লার বাসিন্দা শামিমা আক্তার বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে সময়মতো প্রাইভেট কোচিংয়ে নিয়ে যেতে হয়। বিকাল ৩টায় কোচিং ছিল। টানা ২ ঘণ্টা যাবত বিদ্যুৎ নেই। তাই সময় মতো বের হতেও পারলাম না। না খেয়েই মেয়েটাকে কোচিংয়ে পাঠাতে হয়েছে। এভাবে প্রতি সপ্তাহে বিদ্যুতের সমস্যা আমাদের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে। যেকোনো ত্রুটি তাৎক্ষণিক সমাধানে নেসকোর গতি আরো বাড়ানো উচিত। আরজী নওগাঁ মহল্লার খামারি ফিরোজ হোসেন বলেন, আমার মুরগির খামারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ রাখতে হয়। এমনিতেই নেসকোর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট। এর মধ্যে আবারো দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বন্ধ। ডিজেল দিয়ে জেনারেটর চালাতে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। ঠিক কতক্ষণ পর বিদ্যুৎ আসবে সে বিষয়ে জানতে অভিযোগ কেন্দ্র ও কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করা হলে কেউই কথা বলতে চাইছে না। নেসকোর এমন অপেশাদার আচরণ অপ্রত্যাশিত। এ বিষয়ে নেসকো নওগাঁ বিক্রয় ও বিতরণ (উত্তর) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, উপকেন্দ্রের প্যানেল বোর্ডের কন্ট্রোল সিস্টেমের কিছু তার পুড়ে যাওয়ায় সবকটি ফিডারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাজশাহী থেকে আবারো প্রটেকশন টিমকে আসতে বলা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। সপ্তাহ না যেতেই আবারো শর্ট সার্কিট হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোথায় কীভাবে শর্টসার্কিট হচ্ছে তা বুঝে উঠা যাচ্ছে না। সমস্যাটির মূল কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি রাজশাহী থেকে প্রটেকশন টিম এসে টেকসই সমাধান করে দিয়ে যাবে।