ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মাছের গাড়ির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত সৈয়দপুরের ব্যস্ত দুই সড়ক

মাছের গাড়ির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত সৈয়দপুরের ব্যস্ত দুই সড়ক

মাছের গাড়ির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক। শহরের মাছহাটি সংলগ্ন প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা মাছের আষ্টে পানিতে সয়লাব হয়ে আছে। পানি জমে থাকায় সড়কটির কার্পেটিং উঠে গেছে। বর্তমানে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে মদিনা মোড় থেকে উত্তর দিকের দৃশ্য ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সরজমিন দেখা গেছে, সেখানে সারি সারি মাছের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ছোট পিকআপভ্যান ও ট্রাকে করে বিভিন্ন নদীবন্দর ও আড়ত থেকে আমদানি করা হচ্ছে মাছ। যানবাহনগুলো এসে দাঁড়াচ্ছে মাছহাটি সংলগ্ন ওই রাস্তায়। এসব ট্রাক ও পিকআপভ্যানে স্থাপন করা হয়েছে চৌবাচ্চা বা জলাধার। মোটরের ঝাঁকুনিতে চৌবাচ্চার পানি উপচে পড়ছে রাস্তায়। সড়কের পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। জমে থাকা দুর্গন্ধময় পানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন ওই এলাকার ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। সেই সঙ্গে যানবাহন চলাচল করায় সৃষ্টি হচ্ছে খানাখন্দকের। কথা হয় মাছ ব্যবসায়ী নীরা রায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, কী করব? রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করানো ছাড়া অন্য কোনো ব্যবস্থা আমাদের হাতে নেই। অমদানি করা মাছ নিয়ে ট্রাকগুলো এসে দাঁড়ায় শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক ও পাশের শহীদ ডা. সামসুল হক সড়কে। ওই রাস্তাগুলোতে পানি নিষ্কাশনের তেমন ব্যবস্থা নেই। তাই সড়কে পানি জমে থাকে। এদিকে পৌরসভার নজর দেওয়া উচিত। সৈয়দপুর বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন, খানাখন্দতে পরিণত হওয়া সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রয়াত মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার এখানে ট্রাক দাঁড়ানোর জন্য ৫০ গজ রাস্তা কংক্রিট (বালু, সিমেন্ট ও পাথর) ঢালাই করেন। তা না হলে সড়কটি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত