দুমকিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

টেকনিশিয়ানের অভাবে ৫ বছর ধরে অচল এক্স-রে মেশিন

প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মোঃ রাকিবুল হাসান (দুমকি)

টেকনিশিয়ান না থাকায় দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে হাঁড়ভাঙা রোগী ও তাদের স্বজনদের। স্বল্প খরচের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা দিয়ে বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে এক্স-রে করতে হচ্ছে রোগীদের। এতে রোগী ও তাদের স্বজনরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে যেমন রোগীরা ভোগান্তি পোহাচ্ছে, তেমনি সরকার বছরে বড় অঙ্কের টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। দুমকি উপজেলা শহরসহ উপজেলাধীন পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক জনগণের সেবা দানের জন্য ২০০৩ সনে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপিত হয়। বর্তমানে সেটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জানা গেছে, দুমকি উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে রোগীরা স্বল্প খরচে সঠিক সেবা নেওয়ার জন্য ওই হাসপাতালে যান। বিভিন্ন গুরুতর সমস্যা বা ভাঙাচোরা রোগীদের এক্স-রে করার প্রয়োজন হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক্সরে রিপোর্ট রোগীদের বাইরে থেকে করানোর পরামর্শ দেন। পরে উপায় না পেয়ে শহরের বিভিন্ন বেসরকারি প্রাইভেট ক্লিনিকে এক্স-রে করতে হয়। ফলে অসুস্থ ও মুমূর্ষ রোগীদের যাতায়াতে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন টেকনিশিয়ান না থাকায় মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সরকারি হাসপাতালে স্বল্প খরচের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা দিয়ে বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে এক্স-রে করতে হয় রোগীর স্বজনদের। ফলে রোগী ও তাদের স্বজনরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও দুমকি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া গুরুতর অসুস্থ রোগীর ক্ষেত্রে হাসপাতালের সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করা এবং ক্লিনিকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে পথিমধ্যে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগী ও তাদের স্বজনদের। এ ব্যাপারে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মীর শহীদুল হাসান শাহিন জানান, এক্স-রে মেশিনের টেকনিশিয়ান না থাকায় দীর্ঘদিন পড়ে থাকার কারণে ওই মেশিনের কার্যক্রম ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। একজন এক্সরে টেকনোলজিষ্ট এর জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও দীর্ঘদিন পরও তা বাস্তবায়ন হয়নি।