কেশবপুর পৌরসভার স্ট্রিট লাইটের অর্ধেকই নষ্ট

প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

পরিবেশ সুরক্ষা, জীবনযাত্রার সুবিধার জন্য গ্রামকে শহরে রূপান্তরের অংশ হিসেবে যশোরের কেশবপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ১৬৩টি সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপণ করা হয়। সরকারের কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের আওতায় এসব স্ট্রিট লাইট বরাদ্দ দেয়া হয়। স্ট্রিট লাইট স্থাপনকালে নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, স্ট্রিট লাইট রক্ষণাবেক্ষণে কোনো কারিগর বা অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি। যে কারণে ২ বছর পূর্ণ না হতেই এর অর্ধেকই নষ্ট হওয়ায় সরকারের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। এতে শহরে বড় ধরনের অপরাধ বেড়ে গেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা অধিদপ্তরের আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্পে কেশবপুর পৌরসভায় ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা মূল্যের ১৬৩টি সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপণ করা হয়। যার প্রতিটি লাইটের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৯ হাজার ৫৫০ টাকা .৬২৩ পয়সা। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এসব লাইট স্থাপণ করা হয়। বিদ্যুৎ না থাকলেও শহরে আলোর কমতি ছিল না। সন্ধ্যা হলেই লাইটগুলো জ্বলতো এবং ভোরে নিভে যেত। জনগণ এর সুফল পেতে শুরু করে। কিন্তু দুই বছর পূর্ণ না হতেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানের লাইটে ত্রুটি দেখা দেয়। কোনো কোনো সোলার লাইট রাত ১০টা থেকে ১২ মধ্যে নিভে যায়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্থাপণকৃত অধিকাংশ সোলার স্ট্রিট লাইট নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় দীর্ঘদিনেও লাইটগুলো যেমন মেরামত করা হয়নি, তেমনি বিকল্প কোনো আলোর ব্যবস্থাও করা হয়নি। ফলে পৌরবাসিকে অন্ধকারেই ঝুঁকি নিয়ে পথ চলতে হয়। দেখভালের অভাবে অনেক লাইটের সোলার প্যানেল ও ব্যাটারি চুরি হয়ে গেছে। রাতে ওইসব স্থানে আলোর অভাবে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শুভাগত বিশ্বাস বলেন, সোলার প্যানেলের ওপর ধুলা-ময়লা পড়াসহ ছায়াযুক্ত স্থানে অধিকাংশ লাইট স্থাপণ করায় ব্যাটারিতে পর্যাপ্ত চার্জ না হওয়ায় অনেক স্ট্রিট লাইট নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। সরকারিভাবে কোন অর্থ বরাদ্দ না থাকায় নষ্ট হওয়ায় লাইট মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, সোলার কোম্পানি ২ বছরের ওয়ারেন্টি দিয়ে লাইটগুলো স্থাপণ করেছিল। বর্তমান এ লাইটের বয়স ৪ থেকে ৫ বছর। অধিকাংশ সোলারের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেছে। এ বিষয়ে কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।