ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নিয়ামতপুরে মাদ্রাসায় দুই শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু

একজন চিকিৎসাধীন
নিয়ামতপুরে মাদ্রাসায় দুই শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু

নওগাঁর নিয়ামতপুরে বিষাক্ত কিছুর দংশনে দুই শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আরেক শিক্ষার্থী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। গত সোমবার রাত ২টার দিকে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের পুস্তইল সাহাপুর রিয়াজুল জান্নাহ মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। তবে সাপের দংশনে মারা গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতরা হলেন- উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের পানিহারা গ্রামের নাজিম বাবুর মেয়ে সাদিয়া খাতুন (৯) ও পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার পূর্ব ব্রাক্ষন গ্রামের আবু সায়েমের মেয়ে আসমা আক্তার সুইটি (১৩)। আহত আরেক শিক্ষার্থী মোবাস্বিরা খাতুন (১১)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- ৩ বছর আগে মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ জন। এলাকাবাসীর আর্থিক সহযোগিতায় মাদ্রাসা পরিচালনা করা হয়। মাদ্রাসা করার পর থেকেই কোনো না কোনো সমস্যা আসতেই থাকে। তবে এলাকাবাসীরা মনে করছেন মাদ্রাসায় ‘জিনের আসর’ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের মাথাব্যথা, শরীর ঝিমঝিম করা, রাতে বাচ্চারা ঘুমিয়ে গেলে ঘুমের মধ্যে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনাও হয়েছে। এ কারণে কবিরাজ দিয়ে ঝাড়ফুঁক করে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থী মোবাস্বিরা খাতুনের বাবা মোকলেছুর রহমান বলেন, মাদ্রাসায় খারাপ জিনের আসর রয়েছে। বাচ্চাদের বিভিন্ন সময় স্বপ্নে দেখাতো এই মাদ্রাসা ছেড়ে চলে যেতে। তা না হলে বাচ্চাদের মেরে ফেলা হবে। আবার অনেক সময় রাতে মাদ্রাসার বাইরে থেকে ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু বের হওয়ার পর আর কাউকে দেখতে পাওয়া যায় না। মেয়ে সুস্থ হলে আর ওই মাদ্রাসায় পাঠাব না। ওই এলাকার কবিরাজ একরামুল হক বলেন, আমি প্রায় ৩০ বছর কবিরাজি পেশায় আছি। মাদ্রাসার জায়গাটা অনেক সুশান্ত-খারাপ। জিনের বসবাস রয়েছে এখানে। বাচ্চাদের সবসময় ভয়ের মধ্যে রাখত তারা। মাদ্রাসার হুজুর জুলাইখা বলেন- মাদ্রাসা করার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মাথাব্যথা, শরীর ঝিমঝিম করা, রাতে ঘুমের মধ্যে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করার ঘটনা ঘটে। পরে মাদ্রাসা কমিটির মাধ্যমে কবিরাজ দিয়ে ঝাড়ফুঁক করে নেওয়া হয়েছে। তবে আমার সঙ্গে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি। রাতে শিক্ষার্থীদের চিৎকারে ঘুম থেকে জেগে উঠি। এক শিক্ষার্থী সাপ কামড় দিয়েছে বলে চিৎকার করে। পরে আরো দুই শিক্ষার্থী কামড় দিয়েছে বলে চিৎকার করে। এক পর্যায়ে মাদ্রাসা কমিটির মাধ্যমে অভিভাবকদের জানানো হয়। তবে তাদের মৃত্যু আমি মেনে নিতে পারছি না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত