ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাজাপুরে স্কুলমাঠ নষ্ট করে রাস্তা নির্মাণ

রাজাপুরে স্কুলমাঠ নষ্ট করে রাস্তা নির্মাণ

ঝালকাঠির রাজাপুরে জোড় করে স্কুলের খেলার মাঠ নষ্ট করে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মো. জিয়া হাওলাদারের বিরেুদ্ধে। এ নিয়ে স্কুল ও রাস্তা দুইটি পক্ষ হয়েছে। উভয়পক্ষের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা। উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের সোনারগাঁও জেএকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এমন অবস্থা। জিয়া উপজেলার আরুয়া এলাকার মৃত মান্নান হাওলাদারের ছেলে ও সৌদি প্রবাসী। স্থানীয় ছবুর খান, রাজু মোল্লা, রাকিব মোল্লা, মফেজ আলী জানায়, পাশাপাশি দুইটি স্কুল। একটি সোনারগাও জেএকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়। অন্যটি ৫৬ নং আরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুইটি স্কুলের একটি খেলার মাঠ এবং জমিদাতাও একজন ওয়াজেদ আলী খান। স্কুলের পেছনের বাসিন্দারা মাঠের মাঝ থেকে দীর্ঘদিন থেকে হাঁটাচলা করে আসছিল। তারা ওই স্থান থেকে রাস্তা পাকা করতে চাইলে স্কুলের জমিদাতা ওয়াজেদ আলী খানের ভাতিজা ছরোয়ার খান নিজ ব্যয়ে স্কুলের বাইরে থেকে গত ১০ দিন আগে একটি বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করে দিয়েছে। কিন্তু প্রতিপক্ষরা স্কুলের বাইরে থেকে রাস্তা মানতে নারাজ। তারা স্কুলের মাঠের মাঝ থেকে রাতের আঁধারে রাস্তা নির্মাণ করেন এবং এই রাস্তা রক্ষা করতে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে বাড়িতে বসে দেখাশোনাও করেন। এই রাস্তা রক্ষা করতে গত মঙ্গলবার সকালে স্কুলের সামনে গ্রামবাসীর ব্যানারে একটি মানববন্ধন করেন। বর্তমানে স্কুলের মাঠের মাঝ থেকে রাস্তা নেয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসলে তারাও নজরদারি করছে। স্কুলের মানেজিং কমিটির সভাপতিও মাঠের মাঝ থেকে রাস্তা নেয়ার পক্ষে সুপারিশ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্কুলশিক্ষার্থী ইমন, শাহিন, রাহাত, জাকারিয়া জানায়, এটি আমাদের এলাকায় একমাত্র খেলার মাঠ। স্কুলের খেলার মাঠে আমরা খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সময় টুর্নামেন্ট পরিচালনা করি। বর্তমানে একটি মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা করার কথা থাকলেও মাঠের মাঝ থেকে জোড় করে রাস্তা নেয়ায় এখন আর খেলাধুলার কোনো সুযোগ নেই। তাই খেলাধুলার জন্য আমরা মাঠ থেকে এই রাস্তা অপসারণ করে আগের মতো মাঠ ফিরে পেতে চাই। স্কুলের জমিদাতা ওয়াজেদ আলী খানের ভাতিজা ছরোয়ার খান জানান, স্থানীয় মানুষের চলাচলের কথা চিন্তা করে স্কুলের বাইরে থেকে জায়গা ক্রয় করে একটি রাস্তা নির্মাণ করে দিয়েছি তারপরেও রাতের আঁধারে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মাঠ নষ্ট করে রাস্তা নির্মাণ করেছে। মাঠ নষ্ট করে রাস্তা নেয়ার পক্ষের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নাসির সিকদার জানায়, রাস্তাটি ৫৬ নং আরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অংশে পরেছে। তারা রাস্তা নির্মাণ করতে বাধা দেয় নাই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন জানান, দুইটি স্কুল একটি ভূখণ্ডে আর দুই স্কুলের একটিই খেলাধুলার মাঠ। মাঠের মাঝ থেকে রাস্তা নিলে মাঠ দুইভাগে বিভক্ত হবে। এতে খেলাধুলার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের সব সময় খেলাধুলামুখী করতে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা বেস্তে যাবে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. গোলাম বারী খান বলেন, মাঠের মধ্য থেকে রাস্তা আমিও চাই না। কিন্তু প্রাইমারি তাদের জায়গায় দেয়াল দিলে মাঠ তো আর থাকল না, তখন রাস্তা দিলে অসুবিধা কি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা আলম জানান, স্কুলের খেলার মাঠ নষ্ট করে রাস্তা করার কোনো সুযোগ নেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত