গজারিয়ায় চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় লোডশেডিং বৃদ্ধি

প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। একদিকে প্রচণ্ড তাপদাহ অন্যদিকে লোডশেডিং। গত কয়েকদিন থেকেই রাত-দিন দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা। জানা যায়, উপজেলাজুড়ে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে উপজেলাজুড়ে পল্লী বিদ্যুতের ছয়টি সাবস্টেশন রয়েছে। গ্রাহকের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সর্বমোট ২২টি ফিডারে বিভক্ত করা হয়েছে। আর এসব ফিডারের মাধ্যমে সব গ্রাহকদের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিন থেকে উপজেলায় বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা থাকছে না বিদ্যুৎ। একদিকে প্রচণ্ড তাপদাহ, ভ্যাপসা গরম আবার সেইসঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং যেন- মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এরই ফলে প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, ভবেরচর এলাকায় প্রায়ই দুপুর ২টা থেকে রাতে ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসে না। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রাহকরা। উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের পুরান বাউশিয়া গ্রামের বাসিন্ধা সাদ্দাম হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন থেকেই নামাজের সময়সহ রাত-দিন দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। এতে করে আমরা পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছি। এই অসহনীয় লোডশেডিং বন্ধ করার দাবি জানান তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি মসজিদের ইমামরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ না থাকায় মুসল্লিদের খুব কষ্ট করে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে। আবার কিছু কিছু এলাকায় লোডশেডিং কম হয়েছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩-এর গজারিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম অভিলাষ চন্দ্র দাস বলেন, গত কয়েকদিন থেকে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা শুধু গজারিয়া উপজেলায় নয়, বিভিন্ন উপজেলাতেও একই অবস্থা। আশা করছি, দ্রুত এই সমস্যা সমাধান হবে ।