ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মধুখালীতে প্রভাবশালীর দখলে চন্দনা খাল

মধুখালীতে প্রভাবশালীর দখলে চন্দনা খাল

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ও আড়পাড়া ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত পানি নিষ্কাশনের একমাত্র চন্দনা খালটি অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে। দিন দিন জমির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দখলদাররা খাল দখলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। খালের উভয়পাশে ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন প্রভাশালী দখলদাররা। জানা গেছে, উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের গড়াই ও মধুমতি নদী থেকে উঠে আসা চন্দনা খালটি কামারখালী বাজারের পুরাতন ফেরিঘাটের পূর্ব ও পশ্চিমের সঙ্গে চন্দনা খাল দিয়ে আড়পাড়া মাঠে ও হড়িনা খালে পানি নিষ্কাশনের এটিই একমাত্র প্রধান খাল। এক সময়ের খরস্রোত এ খালটি দখলদারদের কবলে পড়ে আজ মরা খালে আবার কোথাও নালায় পরিণত হয়েছে। জানা যায়, এ খালে নৌকায় করে বাজারে আসা-যাওয়া, বাজারের মালামাল বহনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা এ খালটি ব্যবহার করত। কিন্তু দখলের কারণে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। ফলে নদীর জোয়ারে খালে পানি ঢোকার ব্যবস্থা নেই। সব দিকে কামারখালী ও আড়পাড়া চন্দনা খাল ভরাট করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এ কারণে গ্রামের কোথাও আগুন লাগলেও পানির সংকট দেখা দেয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পানির উৎস পাওয়া যায় না। এছাড়া খালটি ও তার ছোট ছোট শাখা নালাগুলো ভরাট হওয়ায় সামন্য বৃষ্টি হলেই এ খালের আশপাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সেই খাল ও নালা নানা কৌশলে দখলে নিলেও প্রভাবশালীরাদের ভয়ে সবাই চুপ থাকলেও সচেতন মহলের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। খাল দখলে প্রভাবশালীরা জড়িয়ে পড়ায় প্রশাসনও রহস্যজনক ভূমিকায়। ফলে আরো উৎসাহী হচ্ছে দখলদাররা। এ সুযোগে খাল দখলদার মহলটি দিন দিন খাল দখল করে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে। প্রভাবশালীরা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর জেলার জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার পিএএ সম্প্রতি মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনকালে বলেন চন্দনা খালসহ রাস্তাঘাট দখল করে আছে, তারা যতই প্রভাবশালী অথবা যে কেউ হোক, যারা অবৈধ জমি-জমা ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট দখল করে আছে তাদের স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিতে হবে নতুবা আইনের কাঠগড়ায় আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, কৃষকের পাট জাগের আধুনিক প্রযুক্তির পরিকল্পনার ব্যবস্থা করা হবে। যাতে পাটের জন্য হাহাকার করা না লাগে এবং মরা খাল খনন করা হবে। কারণ মধুমতি ও গড়াই নদীতে পানি থাকলেও নদীর পানি মাঠে ও খালে এবং বিলে যাওয়ার ব্যবস্থা নেই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত