এক মাসে ১ লাখ ৩৯ হাজার টন পাথর উত্তোলন

রেকর্ড ভাঙছে মধ্যপাড়া পাথরখনি

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কামরুল হুদা হেলাল, দিনাজপুর প্রতিনিধি

রেকর্ডের পর ভাঙছে দেশের একমাত্র দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথরখনি। পরিচালনা, উৎপাদন এবং উন্নয়নে জিটিসির সাথে দ্বিতীয় দফা চুক্তির পর গত জুলাই মাসে খনি থেকে মাসিক উৎপাদনের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে খনির উৎপাদন ইতিহাসে পাথর উত্তোলনে নতুন মাসিক রেকর্ড তৈরি হয়েছে। গত জুলাই মাসে এক লাখ ৩৯ হাজার টন পাথর উত্তোলন করে খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। যা গত মে মাসে ছিল এক লাখ ৩৮ হাজার মে. টন। বর্তমান চুক্তির পর প্রায় প্রতি মাসেই জিটিসি পাথর উত্তোলনের রেকর্ড দিয়ে নতুন মাইলফলক স্থাপন করে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে। ২০০৭ সালের ২৫ মে পাথরখনির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাণিজ্যিক উত্তোলন শুরু হয়। দৈনিক ৫০০ টন পাথর উত্তোলন করে এক মাসে প্রায় ১৫ হাজার টন। সেখানে খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি এক মাসে ১ লাখ ৩৯ হাজার মে. টন পাথর উত্তোলন খনির উৎপাদন ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় লোকসানে চলা পাথর খনিটিকে লাভজনক করতে গত ২০১৩ সালে ২ সেপ্টেম্বর খনি সচল রাখতে বেলারুশের জার্মানিয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়ামের (জিটিসি) সাথে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লেমিটেডের (এমজিএমসিএল) মধ্যে ছয় বছরের আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়। ২০১৪ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি জিটিসি খনির উন্নয়ন ও উৎপাদনকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে পাথর উত্তোলন শুরু করে এবং প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা, অসহযোগিতাসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও জিটিসি গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে টানা ৪ অর্থবছরে খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে। যার ফলে পাথর উত্তোলনে জিটিসির এই সফলতার পর প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদ শেষে জিটিসির সাথে নতুন করে আবারো খনি কর্তৃপক্ষের ছয় বছরের জন্য চুক্তি হয়। ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফা চুক্তির প্রথম বছরে নির্ধারিত সময়ে বার্ষিক উত্তোলনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ পাথর উত্তোলন করে জিটিসি তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। মধ্যপাড়া পাথরখনি থেকে উৎপাদনের মাসিক এই নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টির ফলে খনিটি বর্তমানে সরকারের লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খনি সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের অর্থনৈতিক এবং জীবন মানের প্রভূত উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে মধ্যপাড়া পাথরখনির অবদান অব্যাহত রাখতে খনিসংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা পেলে জার্মানিয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়ামের (জিটিসি) মাধ্যমে মধ্যপাড়া পাথরখনি দেশের অর্থনীতির একটি মডেল হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট সচেতন মহল।