ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নান্দাইলে বিদ্যালয়ের পুকুর দখলের অভিযোগ

নান্দাইলে বিদ্যালয়ের পুকুর দখলের অভিযোগ

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বাঁশহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব পুকুর দখলের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মরহুম মনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে। পুকুর বেদখলের প্রতিবাদে গত বুধবার সকালে বাঁশহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া। লিখিত বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক বলেন- বিদ্যালয়টি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় থেকে বিদ্যালয়ের সঙ্গে ৫০ শতাংশ জমি বিআরএস খতিয়ান নং ৯২৬ দাগ নং ১৫০৪ পুকুরটি বিদ্যালয় ভোগ করে আসছে। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও সভাপতি মো. মনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে পুকুর থেকে মাছ বিক্রি করে বিদ্যালয়ের ফান্ডে টাকা জমা রাখা হত। সর্বশেষ ২০১৮-২০২০ সাল পর্যন্ত সভাপতি থাকা অবস্থায় তখনও তিনি পুকুরটি নিজের বলে দাবি করেনি। মো. মনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর থেকে তার পরিবারের লোকজন পুকুরটি নিজের বলে দাবি করছেন। গত ২৮ জুলাই পুকুরটি নিজেদের দখলে নেওয়ার স্বার্থে ভেকু দিয়ে মাটি কাটেন। এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নান্দাইল মডেল থানায় লিখিত আকারে অবহিত করা হয়েছে। বাঁশহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন- বিদ্যালয়ের পুকুরটি জোর করেই দখল করে নিচ্ছে। পুকুর নিজেদের দাবি করে গত ২০ জানুয়ারী ঈশ্বরগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন থাকার পরেও তারা দখলে নিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে বিদ্যালয়ের পুকুরের জমি বেদখলকারীদের হাত থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন। এদিকে মরহুম মনোয়ার হোসেন ভূইয়ার ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক ভূইয়া জানান, আমার বাবা মনোয়ার হোসেন ভূইয়া সহজ সরল লোক ছিলেন।

ভুলক্রমে তা বিদ্যালয়ের নামে বিআরএসে রেকর্ড হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি তা জানতে পেরে বিআরএস সংশোধনী মামলা দেন এবং তা চলমান আছে। এছাড়া উক্ত পুকুরটি দুই দাগে অন্তর্ভুক্ত এবং আমরা ভোগদখল করে আসছি। এখানে বেদখলের কিছু নেই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত