আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন পৌরসভা গড়ে তোলার নানামুখী প্রতিশ্রুতি দিয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে শেরপুর পৌরসভা মেয়র আলহাজ জানে আলম খোকা ৭৮ কোটি ৮৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। প্রস্তাবিত ওই বাজেটে পৌরসভার নানামুখী উন্নয়নসহ নাগরিক সেবার মান বাড়ানোর জন্য এবারের বাজেটে বিশেষ পরিকল্পনা রাখা হয়েছে। বাজেটে নিজস্ব খাত, হাট-বাজার ইজারা ও সরকারি অনুদান থেকে রাজস্ব আয় হিসাবে ৭ কোটি ৮৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা, উন্নয়ন সহায়তা মঞ্জুরি ১ কোটি, রিজিলিয়েন্ট আরবার অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট (আরইউটিডিপি) ও মিউনিসিপ্যাল গভর্ন্যান্স প্রকল্প (ওএন্ডএম) ও মিউনিসিপ্যাল গভার্নেস সার্ভিসেস প্রজেক্ট এমজিএসপি থেকে ৬৫ কোটি টাকা, পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে ৫ কোটি ও জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড ২ কোটি টাকা ও কোভিড-১৯ ও রিসপন্ড অ্যান্ড রিকভারী প্রজেক্ট থেকে ৩ কোটি আয় ধরা হয়েছে। অপরদিকে ওইসব নানামুখী উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য সমপরিমাণ টাকা বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে। পৌরসভার সভাকক্ষে আয়োজিত ওই বাজেট অধিবেশনে পৌরসভার প্যানেল মেয়র- নাজমুল আলম খোকন, সৌমেন্দ্র নাথ ঠাকুর শ্যাম, মমতাজ বেগম রুবি, নারী কাউন্সিলর করুনা রানী ঘোষ, শারমিন আকতার, শুভ ইমরান, বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি, নিমাই ঘোষ, ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েল, চন্দন কুমার দাস রিংকু, জাকারিয়া মাসুদ, পৌরসভার সচিব ইমরোজ মুজিব, নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল ইসলাম, মামুনুর রশীদসহ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সুধী মহল উপস্থিত ছিলেন। বাজেট বক্তৃতায় শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ জানে আলম খোকা বলেন, শেরপুর পৌরসভাটি ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাচীণতম এ পৌরসভাটি পর্যায়ক্রমে প্রথমশ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। বিগত ২০২১ সালে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই শেরপুর পৌরসভাকে আধুনিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিকল্পনা মাফিক কর্মযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আবারও এমজিএসপি প্রকল্পের চিঠি পেয়েছি। অচিরেই বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে পৌরসভার রাস্তা-ঘাট, ড্রেন, কালভার্ট, কমিউনিটি সেন্টার, শিশুপার্ক, হাটবাজার ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ও দৃষ্টিনন্দন করতে এবারের বাজেটে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
