ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গাইবান্ধায় পানির অভাবে পাট পচানো নিয়ে বিপাকে চাষিরা

গাইবান্ধায় পানির অভাবে পাট পচানো নিয়ে বিপাকে চাষিরা

অনাবৃষ্টি, খরা, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা এবং নিচু জলাশয় শুকিয়ে গেছে। সে কারণে তোষাপাট পচানো নিয়ে বিপাকে পরেছেন পাট চাষিরা। বৃষ্টির আশায় পাট কেটে জমিতে স্তর করে রাখছে দিনের পর দিন। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ার কারণে জমিতে স্তর করে রাখা পাট শুকিয়ে যাচ্ছে, পচানোর ব্যবস্থা করতে পারছে না চাষিরা। অনেকে নিচু জলাশয়ে সেচ মটর দিয়ে পানি ভর্তি করে পাট পচানোর ব্যবস্থা করলেও দু’তিন দিনের মধ্যেই সেই পানিও শুকিয়ে যাচ্ছে। সব মিলে পাট চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছে। চাষিদের স্বপ্ন সোনালি আঁশ যেন গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে তোষাপাট চাষাবাদ হয়েছে। এরই মধ্যে পাটকাটা শুরু হয়েছে। পাট পচানোর জন্য ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগে। প্রতি বিঘা জমিতে ৮ থেকে ৯ মণ পাট উৎপাদন হয়। বর্তমান বাজারে প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে গ্রেড অনুযায়ী আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। তোষাপাটের চাষাবাদ চরাঞ্চলে বেশি। বেলকা গ্রামের পাটচাষি তারা মিয়া জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করে ছিলেন। গত ১০ দিন হলো পাট কেটে জমিতে স্তূপ করে রেখেছেন, পানি না থাকার কারণে পচানোর জন্য জাগ দিতে পারছে না। এরই মধ্যে জমিতে তার পাট শুকিয়ে গেছে। স্থানীয় জলাশয়ে সেচ মোটর দিয়ে পানি ভর্তি করে পচানোর ব্যবস্থা করা হলেও পানি দিতে হচ্ছে প্রতিদিন। এতে করে উৎপাদন খরচের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, তারপরও পাটের রং নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, পাটের রং ভালো না হলে দাম ভালো হবে না। এমনকি খরচও উঠবে না। হরিপুর ডাঙ্গার চরের মফিজল হক জানান, তিস্তার শাখা নদীতে তার দুই বিঘা জমির পাটের জাগ পানির অভাবে শুকনা জায়গায় পড়ে রয়েছে। শাখা নদীতে পানি দেয়ার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। মহাবিপাকে পরেছেন তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, অবৃষ্টির কারণে নিচু জলাশয়গুলো শুকিয়ে গেছে। ক্ষণিকের জন্য একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেকে সেচ মোটরের মাধ্যমে নিচু জলাশয়ে পানি দিয়ে এবং ব্যক্তিগত পুকুরে পাট পচানোর ব্যবস্থা করছেন। চলতি মৌসুমে পাটের ভালো ফলন হয়েছে। পাটচাষিরা এখন অনেক লাভবান। কারণ পাটের আঁশের পাশাপাশি পাটকাটির দামও অনেক ভালো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত