ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাবনায় অনাবৃষ্টিতে আমন ধান চাষে বিপর্যয়

বিপাকে কৃষক
পাবনায় অনাবৃষ্টিতে আমন ধান চাষে বিপর্যয়

পাবনায় খরার কবলে আমন ধানের চারা রোপণ করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। শ্রাবণ মাসের অর্ধেক পার হয়ে গেলেও মৌসুমি বৃষ্টির দেখা নেই। মাঝেমধ্যে সামান্য ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হলেও তা খুব একটা কাজে আসছে না কৃষকদের। পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৮০ হাজার ২১৭ টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরে ৫৫ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে (২.৮.২৩) ১২ শতাংশ জমিতে আমন ধানের চারা লাগানো হয়েছে। সেচের জন্য জেলায় গভীর নলকূপ, অগভীর নলকূপ ও এলএলপিসহ (লো লিফট পাম্প) ২ হাজার ২৫৩টি সেচযন্ত্র রয়েছে। এরই মধ্যে ৭৮৩টি বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্র। বাকি ১ হাজার ৪৭০টি সেচযন্ত্র ডিজেলচালিত। খরা মোকাবিলায় বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত সেচযন্ত্রের প্রায় সবগুলোই চালু রাখা রয়েছে। পাবনা সদর, ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া ও সাঁথিয়া উপজেলার কয়েকজন কৃষক জানান, সেচের কারণে চলতি বছর বিঘা প্রতি অতিরিক্ত ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে আমন চাষিদের। আমন আবাদে জমি প্রস্তুত ও ধানের চারা বাঁচাতে কৃষকদের ভরসা ভূগর্ভস্থ পানি। এতে খরচ বাড়ছে তাদের। সাঁথিয়া উপজেলার তৈলকুপী গ্রামের কৃষক তমিজ উদ্দিন জানান, প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে এলাকায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হলেও মাটি ভেজেনি। ফলে চারা লাগানোর জন্য প্রস্তুত করা জমির মাটি ফেটে যাচ্ছে। যেসব জমিতে চারা লাগানো হয়েছে, পানির অভাবে ওই সব চারা মরে যেতে বসেছে। খরার কারণে মাটি শুকনো কাঠের মতো হয়ে থাকায় সেচ দিয়ে মাটি ভেজাতে অনেক বেশি পানি লাগছে।

কৃষকরা আরো জানান, একদিকে খরা, আরেক দিকে চলছে লোডশেডিং। এক বিঘা জমিতে বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র দিয়ে সেচ দিতে বর্তমানে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত