বেশিরভাগ সময় তালাবদ্ধ থাকে নৌ আবহাওয়া অফিস

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এনামুল হক, কাউখালী (পিরোজপুর)

নির্মাণের প্রায় একদশক অতিবাহিত হলেও কাউখালী উপজেলায় অবস্থিত একমাত্র নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রটি অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে আছে। কিছু জনবল নিয়োগ দিলেও তারা নিয়মিত অফিসে আসেন না। তাদের নেই কোনো কার্যক্রম। আর প্রাথমিক যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে তাও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তাদের যে কাঙ্ক্ষিত সেবা দৈনিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস, ঘূর্ণিঝড়ের (বিশেষ বিজ্ঞপ্তি), ভারি বর্ষণের সতর্কতা, দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস কোনো সেবাই মিলছে না, এ অফিস থেকে এলাকাবাসীর অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ এখানে আবহাওয়া অফিস থাকলেও সেখান থেকে তারা কোনো সেবা পান না। মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে পিরোজপুর-গাবখান চ্যানেল হয়ে ঢাকা যেতে যে রুটটি ব্যবহৃত হয়, সেপথে কাউখালী একটি উল্লেখযোগ্য স্পট। কেন না, কাউখালীর এ জায়গাটি থেকে দুটি নদী দুটি রুট সৃষ্টি করেছে। একটি স্বরূপকাঠির সন্ধ্যা নদী হয়ে ঢাকা, অন্যটি বাংলার সুইচ খাল নামে খ্যাত গাবখান চ্যানেল দিয়ে বরিশাল হয়ে ঢাকা যাওয়ার রুট। ফলে এ নৌরুটের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্পট হয়ে দাঁড়িয়েছে কাউখালী নৌবন্দর। আর একে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এখানে তৈরি হয়েছে এ অঞ্চলের একমাত্র প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার, নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র। নির্মাণ কাজে প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ নির্মাণ করার পর জনগণের ও দেশের কোনো উপকারে না আসলেও প্রায় বছরই লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে করে নামে মাত্র সংস্কার করা হয়। তবে স্থানীয়রা বলেছেন, অফিসের লোকবল এবং কর্মকাণ্ড সবই অদৃশ্যমান। কাউখালী উপজেলার কুমিয়ান এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা অ্যাড. জহুরুল ইসলাম জানান, আমরা সবসময়ই এই আবহাওয়া অফিসের সামনে থেকে চলাফেরা করি। বছরের পর বছর ধরে এই অফিসের গেটে তালা বদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই। কখন এই অফিসের তালা খোলা হয়, তা আমাদের জানা নেই। কাউখালী আবহাওয়া অধিদপ্তরে দায়িত্বে থাকা দিদারুল ইসলাম বলেন, অফিসে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় অফিসে আসা হয় না। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে অফিসে কর্যক্রম চালু হলে অফিসের কর্মচারী কর্মকর্তারা নিয়মিত অফিস করবেন। উল্লেখ্য যে, গণপূর্ত বিভাগ ২০০৮ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু করে এবং ২০১২ সালে নির্মাণকাজ শেষ হয়।