ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উখিয়ায় বাল্যবিয়ে করতে গিয়ে কারাগারে বর

উখিয়ায় বাল্যবিয়ে করতে গিয়ে কারাগারে বর

কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজন ভেস্তে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আর এ আয়োজনের দায়ে তাৎক্ষণিক জেল-জরিমানা গুনতে হয়েছে বর ও কনের পরিবারকে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালীর গয়ালমারা নামক এলাকায়। এ সময় বাল্যবিয়ে আয়োজনের অভিযোগে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমদ তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বরকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও বরের চাচা ও কনের পিতা প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ হোসেন জানায়, গত শুক্রবার রাতে শিশুর সহায়তা জাতীয় জরুরি ফোন সেবা ১০৯৮ থেকে প্রাপ্ত ফোনের ভিত্তিতে স্থানীয় সমাজকর্মী ও গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে এ বাল্যবিবাহ বন্ধের অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহ আহমদ জানায়, গত শুক্রবার রাতে গোপনসংবাদের ভিত্তিতে বাল্যবিয়ের খবরে পালংখালী ইউনিয়নে গয়ালমারায় অভিযান পরিচালনা করে তাৎক্ষণিক বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এ সময় টেকনাফ উপজেলার কাঞ্জরপাড়া এলাকার মৃত জালাল আহমদের ছেলে বর মোহাম্মদ রাসেল (২৪) কে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও বরের চাচা উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের গায়ালমারা এলাকার মৃত ইমান হোসেনের পুত্র আবুল কালাম ও কনের পিতা উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের গায়ালমারা এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র সলিমল্লাহ প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে পাত্রী পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তারমিনা আকতারকে নিয়মিত পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবারসহ উপস্থিত এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ সবাইকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এদিকে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা জানান, বাল্যবিবাহের আয়োজনকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে। কিন্তু এবারে ব্যতিক্রম শাস্তির কারণে বাল্যবিবাহ কমে আসবে বলে ধারণা করছেন তারা।

তাই উপজেলা প্রশাসন তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করে অপরাধীদের জেল-জরিমানা করে শাস্তি দেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সুশীল সমাজ। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তারা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত