কারেন্ট জালের ব্যবহার

ফেনীতে মাছের পরিমাণ কমছে

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ফেনী প্রতিনিধি

অন্য জেলা হতে আসা জেলেদের অবাধে জাটকা নিধনের ফলে মাছ মিলছে না ফেনীর জেলেদের জালে। প্রতিবাদ করতে গেলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। সোনাগাজীর উপকূলীয় এলাকার জেলেদের এমন অভিযোগ আজও দূর হয়নি। স্থানীয় জেলেদের দেওয়া তথ্য মতে, বড় ফেনী নদীর মোহনায় অর্থাৎ সন্দ্বীপ চ্যানেলে নিয়মিত মাছ ধরতে আসে সন্দ্বীপ, ভোলা, বরিশাল, নোয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকার এ পেশার মানুষ। এসব জেলেরা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করছে। বঙ্গোপসাগর হতে ফেনী নদী হয়ে সীমানায় মাছ চলাচলে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে অসংখ্য কারেন্ট জাল ব্যবহার। ফলে ফেনী অংশে কমছে মাছের পরিমাণ। আবছার নামে স্থানীয় একজন মাছ ধরার ট্রলার মালিক বলেন, মোহনায় নিয়মিত ২৫০ থেকে ৩০০ মাছ ধরার নৌকা রয়েছে। যারা অবাধে কারেন্ট জাল ব্যবহার করছে। এক একটি নৌকায় দৈর্ঘ্যে ৩ কিলোমিটারের বেশি কারেন্ট জাল রয়েছে। এ জালের বহর ৪০ থেকে ৬০ ফুট। সে হিসেবে স্বন্দীপ চ্যানেলের এ অংশে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কারেন্ট জাল নির্বিঘ্নে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে একশ গ্রাম ওজনের একটি মাছও এ জালকে ফাঁকি দিতে পারে না। উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোনাগাজীতে তালিকাভুক্ত জেলের সংখ্যা ১ হাজার ৬২৪ জন। তাদের মধ্যে ইলিশ মাছ ধরেন এমন জেলের সংখ্যা ২৫০ জন। তবে স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ সংখ্যা বর্তমানে ১০০ থেকে ১৫০ জনে নেমে এসেছে। জাটকা মাছ ধরা বন্ধ করা না গেলে ফেনী অঞ্চলের জেলেদের অস্তিত্ব বিলীন হতে পারে এমন আশঙ্কা করেছেন স্থানীয় জেলেরা। সোনাগাজী উপজেলা মৎস্য কার্যালয় হতে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, সোনাগাজী উপকূলে প্রাপ্ত ইলিশ মাছের ওজন সাধারণত ৬শ হতে ৮শ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ উপকূলে আহরণকৃত ইলিশের পরিমাণ ৭৯ দশমিক ২৮ টন। তবে গত অর্থবছরে আহরিত সব ধরনের মাছের পরিমাণ ছিল ২৭০ টন। কারেন্ট জাল ব্যবহার করে নির্বিচারে মাছ নিধনের অভিযোগ ইতোপূর্বে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন। তিনি জানান, যে স্থানে কারেন্ট জাল অবাধ ব্যবহারের অভিযোগ আসছে তা ফেনী জেলার অন্তর্গত নয়। ফলে অভিযোগ সত্য হলেও আমাদের তাৎক্ষণিক কিছু করার থাকে না।