ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নীলফামারীর পদ্মবিল পর্যটকদের নতুন ঠিকানা

নীলফামারীর পদ্মবিল পর্যটকদের নতুন ঠিকানা

নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই নামক এলাকায় একটি বিলে ঝাঁকে ঝাঁকে শাপলা এবং পদ্মফুল ফুটেছে। এলাকাবাসী এর নামকরণ করেছেন পদ্মবিল হিসেবে। এসব শাপলা দেখতে সকাল থেকে সন্ধ্যায় সেখানে ছুটে যাচ্ছেন সহস্রাধিক লোকজন। এমনিতেই টানা তিন বছর মহামারী করোনায় বাড়ি থেকে বেড় হতে পারেনি অনেক পরিবার। তাই মহামারীর ভয় কেটে যাওয়ায় গতবছর থেকে পরিবারের লোকজন পদ্মবিল দেখতে ছুটে যাচ্ছেন সিংদই এলাকায়, বিলে নৌকায় উঠে হাত দিয়ে ছুঁয়ে শাপলা বা পদ্ম দেখে মনটাকে স্বতেজ করে ফিরছেন আপণালয়ে।

বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা কিন্তু খালবিল জলাশয় ভরাট হওয়ায় এবং সেসব জায়গায় আবাসন গড়ে ওঠায় শাপলা বিলুপ্তির পথে, নতুন প্রজন্ম শুধুমাত্র শাপলাকে বইয়ের মাঝে খুঁজে পায়, বাস্তবে নয়। কিন্তু আজ নীলফামারীর নতুন প্রজন্মরা বাস্তবে জাতীয় ফুল শাপলা দেখে আবির্ভূত হয়েছে। গতকাল শনিবার সরজমিনে গেলে দেখতে পাই নানান রঙের শাপলা ও পদ্মফুল। এই বিল এখন নীলফামারীর মানুষের কাছে একটি আকর্ষণীয় জায়গায় পরিণত হয়েছে। এই বিলের পদ্মফুল ফোটার কাহিনি ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের জেলা গুলোতে আর জেনে গেছে এই এলাকায় আসার ঠিকানা। সকালে আর দুপুরে পদ্মফুল দেখে একটু হালকা স্বতেজ বাতাস নিতে এখানে ভীর করছেন সকল বয়সের মানুষ। প্রকৃতি প্রেমীদের এখানে এসে সেলফি বা ছবি তোলায় যেন রিতিমত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, যা সকলে নিজেদের সেই পদ্মবিল ও নিজেদের ছবি ফেসবুকে আপলোড করছেন। ভেলা বা নৌকায় চড়ে মনেহচ্ছে কুর্ণিশ দিচ্ছেন জলপদ্মরা।

যাতায়াত ব্যবস্থাও ভাল। মন ভোলানো দৃশ্য দেখলে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। জেলা শহর থেকে প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার দূরে এই সিংদই বিলটি নীলফামারীতে পদ্মবিল নামে পরিচিত পেয়েছে। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে মৌসুমি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান অত্র ইউনিয়ন পরিষদের। পাশাপাশি বিলটিকে সংরক্ষণ ও চিত্তাকর্ষক করতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানান এলাকাবাসী। এই বিলের একসময়ের মাছ চাষি বাদল জানান,আগে এই বিলের মধ্যে কয়েকটি মাছের ঘেরে এই পদ্মফুল ফুটত। মানুষজন দীর্ঘক্ষণ সময়ও পার করছে সেখানে গিয়ে। সেই বিলের আগত দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে বসার আসন ও বিলে নিয়ে যাওয়ার জন্য নৌকা ও মাঝি।নীলফামারী পৌর এলাকার শাকামাছা হাটের ব্যবসায়ী রানা ইসলাম বলেন, বিলটা মোটামুটি বড় এবং পদ্মফুলগুলিও অনেক সুন্দর লাগে। এখানকার ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ বলেন, ‘আমাদের জন্য এই পদ্মফুল আল্লাহ তায়ালার আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত