নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে মাছ শিকার

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শাহীন, কয়রা (খুলনা)

জুন, জুলাই, আগস্ট তিন মাস সুন্দরবনের সম্পদ আহরণের অনুমতি নেই। বন বিভাগের পক্ষ থেকে জেলে বাওয়ালীর বনে প্রবেশের পাস পারমিট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু অসাধু জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিষপ্রয়োগ করে চিংড়ি মাছ ও কাঁকড়া শিকার করা অব্যাহত রেখেছে। জানা গেছে, সুন্দরবনের ভোমরখালি, গেওয়াখালি, পাথকষ্টা, আন্দারমানিক, বজবজা, চালকি, হংসরাজ, দুধমুখ, মার্কি, কালিরখাল, মোল্লাখালি, আদাচাকি, শিবসা, চেরাগখালি, দোবাকি, পুস্পকাটি, মান্দরবাড়ি, শাপখালিসহ বনের অন্যত্র খাল ও ভারানিতে শত শত জেলে নিষিদ্ধ ভেষালি জালে চিংড়ি শিকার করছে। বন বিভাগের টহলে মাঝেমধ্যে দু’চারটি জেলে ধরা পড়ছে। তবে বেশিরভাগ জেলে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। বিষ দিয়ে শিকার করা মণ মণ চিংড়ি প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে জোড়শিং, পাতাখালি, আংটিহারা, চরামুখা, পারসেমারি, মুন্সিগঞ্জ, পাথরখালি, কাটকাটা, ৬নং কয়রা, ৪নং কয়রা, মঠবাড়ি, হায়াতখালি, তেঁতুলতলা, খোড়লকাটি, কালিবাড়ি লোকালয় দিয়ে পাচার করা হচ্ছে। পাচারকারীরা অনেকগুলো সিন্ডিকেট চক্রে বিভক্ত হয়ে কয়রা, পাইকগাছা, কপিলমুনির কয়েকটি মৎস্য আড়তে ধৃত চিংড়ি বেচাবিক্রি করছে। সিন্ডিকেটচক্র জেলেদের কাছ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আংটিহারা, জোড়শিং, ৬নং কয়রা এলাকার কয়েকজন জেলে জানিয়েছে বজবজা, আন্দারমানিক, পাথকষ্টা, ভোমরখালি, গেওয়াখালির বন টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিংড়ি ও কাঁকড়া শিকার করছি।