ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হোটেল রেস্তোরাঁয় নিম্নমানের খাবার বেশি দামে বিক্রি

হোটেল রেস্তোরাঁয় নিম্নমানের খাবার বেশি দামে বিক্রি

শ্যামনগরের হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে নিম্নমানের খাবার বিক্রি করলেও তা থেকে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্য। শ্যামনগর সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে গড়ে উঠেছে অসংখ্য হোটেল-রেস্তোরাঁ ও মিষ্টির দোকান। এসব হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো সহজ সরল মানুষকে প্রতারিত করে নিম্নমানের খাবার বেশি দামে বিক্রি করছে এমন অভিযোগ অহরহ। শ্যামনগরের পার্শ্ববর্তী উপজেলার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি করছে প্রতিটা খাদ্যসামগ্রী। এ ব্যাপারে ভোক্তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অভিযান দাবি করেছেন সচেতন মহল। ভোক্তারা জানান, পাশাপাশি উপজেলা কালিগঞ্জ, আশাশুনি, কয়রা, দেবহাটা, কলারোয়া, তালাসহ বিভিন্ন উপজেলার হোটেলগুলোতে একই খাদ্যসামগ্রী যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি দামে শ্যামনগরের হোটেলগুলোতে বিক্রি হচ্ছে। পর্যটন এলাকা শ্যামনগরে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত ভ্রমণকারী আসেন। এ সুযোগে হোটেলগুলো অধিক মূল্য নিচ্ছে খাদ্যসামগ্রী থেকে। এদিকে মূল্যের তুলনায় খাবারের গুণগত মান অনেকটাই নিম্নমানের বলেও অভিযোগ করেছেন ভোক্তরা। সরেজমিনে দেখা যায় সমুচা, সিঙ্গাড়া, ডালপুরি, পরাটা, রুটি, মোগলই পরটা পাশাপাশি উপজেলার হোটেলগুলোতে প্রতিটি ৫ টাকা হলেও শ্যামনগরে তা ৮ থেকে ১০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মাছ-মাংস, ডিম, বিরিয়ানি, ভাত কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। যে কারণে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন পর্যটক বা অন্য কাজে আসা ভোক্তাবৃন্দ প্রতারিত হচ্ছে। স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত মূল্য নিচ্ছে। শ্যামনগর-কালীগঞ্জ সড়কের পাশে ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধো সড়কের পাশে থাকা হোটেলগুলো বেশি প্রতারণায় মেতেছে। শ্যামনগরের গ্রামগঞ্জের হোটেলগুলোর চেয়ে সদরে থাকা হোটেলগুলো অনেক বেশি মূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করছে। হোটেলের বাইরে চকচকে থাকলেও ভেতরের পরিবেশ ভিন্ন। এক হোটেল মালিকের সঙ্গে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সমিতি রয়েছে, কম মূল্যে বিক্রি করলে সমিতির কাছে জবাবদিহিতা করতে হয়। তিনি বলেন, অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করলে খরিদদার কম হয়; কিন্তু কম মূল্যে বিক্রি করতে পারছি না সমিতির কারণে। এ ব্যাপারে শ্যামনগরের সেনেটারি ইন্সপেক্টর বিকাশ ঘোষ জানান, আমি তাদের বারবার বলেছি মূল্যে সামঞ্জাস্য রাখার জন্য।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আকতার হোসেন বলেন, মাঝেমধ্যে অভিযান দিয়ে জরিমানাও করছি অথচ কয়েকদিন ভালো থাকে তারপর আবার একই অবস্থা হোটেলগুলোতে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত