মাধবপুরে চা শ্রমিকের দিন রজনী

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  হীরেশ ভট্টাচার্য্য হিরো, মাধবপুর (হবিগঞ্জ)

দুটি পাতা একটি কুড়ি ও সবুজ চা গাছের সঙ্গে চা শ্রমিকের মিতালী শত বছর ধরে। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে মন ও শরীরকে চাঙা করে। চা উৎপাদনের পেছনের নিপুণ কারিগর হলেন সহজ সরল চা শ্রমিকরা। এই হচ্ছে সুপেয় চায়ের মূল কথা। প্রতিদিন সকালে চায়ে চুমুক দিয়ে যে ক্লান্তি দূর হয়, এর পেছনে যাদের ঘামশ্রম রয়েছে এসব শ্রমিকদের জীবনমান এখনো দারিদ্রসীমার নিচে। বহু বছর আগে ব্রিটিশ শাসনামলে ভারত উপমহাদেশে বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাদের আগমন ঘটলেও এখন তারা এ দেশের নাগরিক। তাদের সামাজিক রীতিনীতি ধর্ম, কৃষ্টি, কালচার, জীবনাচরণ, বর্ণ ধর্ম, কথা বলার ঢং, কাজের নিখুুঁত বুনন আমাদের ঐতিহ্য ধারাকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলেছে। চা বাগানে বিভিন্ন গোত্রের লোকজন বসবাস করেন। এর মধ্যে উরিয়া, মুন্ডা, সাঁওতাল, ভুমিজ, উরাং, ভূঁইয়া, সবর, রেলী, তন্ত্রবায় গোত্রের লোকজন রয়েছেন। প্রত্যেক গোত্রের লোকের ধর্মীয় রীতিনীতি বিয়ে সাদী পূজা অর্চনায় রয়েছে নিজস্ব রীতিনীতি। বিনোদন প্রিয় শ্রমিকরা ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে ছেলে সন্তান নিয়ে ঠাসাঠাসি করে কোনো রকমে জীবন চালায়। নারী শ্রমিকরা বেশির ভাগ পাতা উত্তোলন ও নার্সারীতে কাজ করেন। চা শ্রমিকরা দুপুরের খাবার সেরে নেয় বাগানের ভেতর। ৫ থেকে ৭ জন নারী শ্রমিক দল বেঁধে বসে খাবার প্রস্তুত করে। এ খাবারে কি পরিমাণ খাদ্যপ্রাণ অথবা পুষ্টিগুণ রয়েছে এ সম্পর্কে তাদের আদৌ কোনো ধারণা নেই।