ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টানা বর্ষণে ঝালকাঠি শহরে হাঁটুপানি

টানা বর্ষণে ঝালকাঠি শহরে হাঁটুপানি

গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ঝালকাঠি পৌর শহরের বড় মাছবাজার, কাপুড়িয়াপট্টি, টিনপট্টিসহ একাধিক এলাকায় পানি জমেছে। গতকাল ভারি বর্ষণে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর, আদালত প্রাঙ্গণ, বার লাইব্রেরি প্রাঙ্গণ, ডিসি অফিসের সামনের সড়ক তলিয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে এ জলাবদ্ধতা আরো প্রকট আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছেন পৌরবাসী। তবে পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি, শহরবাসী যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে ড্রেন ও জলাশয় ভরাট হয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে ১০০ টন বর্জ্য তৈরি হয়। এরই মধ্যে পলিথিন ও প্লাস্টিকজাত বর্জ্য থাকে প্রায় ২৫ টন। ঝালকাঠিতে কোনো ময়লার ভাগাড় না থাকায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সুগন্ধা ও বাসন্ডা নদীতে আবর্জনা ফেলছেন। এছাড়া আরো কয়েক টন গৃহস্থালি বর্জ্য বিচ্ছিন্নভাবে নালা-খালে ফেলা হচ্ছে। এতে শহরের প্রবহমান সাতটি খাল ও অধিকাংশ নালা ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এদিকে, পৌর কর্তৃপক্ষ জলবায়ু প্রকল্পের আওতায় প্রবহমান সাতটি খালের মধ্যে নালা তৈরির কাজ শুরু করছে। এর মধ্যে কোনো নালা ২০০ মিটার আবার কোনোটি ৩০০ মিটার নির্মাণের পর বরাদ্দের অভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। চলমান প্রকল্পের অধিকাংশ খালের মধ্যে বাঁধ দেওয়ার কারণেও পানি প্রবাহিত হতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন। শহরের বাসিন্দা ও বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীর দাবি, ড্রেনগুলো অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ধরনের ড্রেন নির্মাণ না করে নিয়মিত খাল পরিষ্কারের পাশাপাশি নতুন করে খনন করে খালের গভীরতা বাড়ানোর দাবি জানান তারা। পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, প্রতি সপ্তাহে খাল-নালা পরিষ্কার করার পরও পৌরসভার বাসিন্দারা যত্রতত্র পলিথিন বর্জ্য ফেলে সেগুলো ভরে ফেলছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত