ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দুমকিতে টানা বর্ষণে পানির নিচে বীজতলা

আমন আবাদে বিপর্যয়ের শঙ্কা
দুমকিতে টানা বর্ষণে পানির নিচে বীজতলা

গেল কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও প্রবল জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আমনের বীজতলা তলিয়ে গেছে। এতে বীজ পচে যাওয়ার শঙ্কায় দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন দুমকীর কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৬ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর জমিতে বীজ বপনের উদ্দেশ্যে ৪৯০ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা তৈরি করেছেন। এছাড়া শ্রাবণের শেষের দিকে অনেক কৃষকই আমনের ক্ষেত তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিলেও জলাবদ্ধতার কারণে তা পারছেন না। বীজ পচে গেলে কৃষকদের বেশি দাম দিয়ে বীজ কিনে জমিতে রোপণ করতে হবে। কৃষকরা জানান, বৃষ্টিতে তেমন ক্ষতি হতো না যদি জোয়ারের এত চাপ না থাকত। সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার রাজাখালী, চরবয়েড়া, সন্তোষদী, দক্ষিণ মুরাদিয়া, জলিশা, জামলা, সাতানী, লেবুখালী, কার্তিকপাশা, বাঁশবুনিয়া, আলগী, হাজীরহাটসহ আরো অনেক অঞ্চলে জলাবদ্ধতায় বীজতলা ডুবে রয়েছে। উঁচু স্থানের বীজতলা কিছুটা ভালো থাকলেও নিচু স্থানের বীজতলার বীজ জলাবদ্ধতায় পানির নিচে ডুবে রয়েছে। কৃষক দেলোয়ার হোসেন, মান্নান সিকদার, মতলেব খান, শামীম মৃধা, সরোয়ার তালুকদার, মিজান খলিফা, মজিবর গাজী, বীরবল শীলসহ আরো অনেকে জানান, তারা জমিতে বীজতলা তৈরি করেছেন। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় বীজ পানির নিচে ডুবে আছে। দুয়েক দিনে পানি না নামলে বীজ সম্পূর্ণ পচে যাবে।

নতুন করে বীজতলা তৈরি করার এখন আর হাতে সময় নেই। বীজ এভাবে পচে গেলে এ বছর অনেক জমি অনাবাদি থেকে যাবে এবং লোকসানের ঘানি টানতে হবে তাদের। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে দুমকীর নিম্নাঞ্চলসহ অধিকাংশ এলাকাই ডুবে রয়েছে। তবে দ্রুত পানি সরে গেলে বীজতলার কোনো ক্ষতি হবে না। তিনি আরও বলেন, এ উপজেলার কৃষকরা প্রধানত আমনের ওপর নির্ভরশীল। এভাবে যদি বৃষ্টিপাত চলতেই থাকে আর জোয়ারের পানি দ্রুত না নামে তবে বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত