ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নান্দাইলে ড্রাগনের বাম্পার ফলন

নান্দাইলে ড্রাগনের বাম্পার ফলন

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ড্রাগন চাষে ভালো ফলন পেয়ে এবং বাজারে চাহিদা থাকায় চাষাবাদে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। উন্নত জাতের ড্রাগন ফলের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন উদ্যোক্তারা। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই ফলের চাষাবাদ। বর্তমান মৌসুমে বৃষ্টিতে ড্রাগনের ব্যাপক ফলন হয়েছে। উৎসাহ উদ্দীপনায় বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। বিদেশি এই ফল দেশের মাটিতে সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়ে উদ্যোক্তাদের চোখে-মুখে ফুটেছে আনন্দের ঝিলিক। সরজমিন নান্দাইল উপজেলার কাটলীপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার রফিউল কবির মোহন ৩০ শতক জমিতে ড্রাগন বাগান করেছেন। প্রত্যেকটি গাছের পাতায় পাতায় চিমটি দিয়ে আকড়ে ধরে আছে অসংখ্য ড্রাগন ফল। ছোট বড় মাঝারি ফল আর পাতা সবুজ রঙে মিশে একাকার। সবুজ ফলগুলো পাকলে গোলাপি রং ধারণ করে। দেখতে চমৎকার সুস্বাদু এই ফলটির ফলন ভালো এবং বাজারে বেশ চাহিদা থাকায় চাষাবাদে ঝুঁকছেন অনেকেই। উদ্যোক্তা রফিউল কবির মোহন জানান, তিনি ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ৩০০টি পিলারে চারটি করে ড্রাগনের চারা রোপণ করেন। গত বছরের মে মাস থেকে ফলন ধরা শুরু করে। প্রত্যেকটি গাছেই ভালো ফলন হয়। জুন থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ফল বিক্রি করেন। দুই সিজনে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন তিনি। এই সিজনে আরো দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। চাষি মোহনের বড় ভাই সামছুল কবির নিক্সন জানান, নতুন বাগান এরপরও ভালো ফলন হয়েছে। সামনের বছর বাগানটি পরিপূর্ণ হবে। কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে আরো দ্বিগুণ ফলন পাওয়া যাবে। বর্তমানে ২২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা ধরে প্রতি কেজি ড্রাগন পাইকারি বিক্রি করছি। অন্যান্য বাগানের তুলনায় আমাদের বাগানের ফল সুস্বাদু এবং কালারও চমৎকার। তুলনামূলকভাবে দামেও বেশি দিচ্ছে পাইকাররা।

জাত বাচাইয়ে আমরা উন্নত জাতের মালয়েশিয়ান পিংক জাতের বাউ ড্রাগন-৪ চাষ করেছি, যা দেখতে গোলাপি, সাইজও গোলাকার। খুবই মিষ্ট ও সুস্বাদু। বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি। ড্রাগন চাষে উৎসাহ সম্পর্কে রফিউল কবির মোহন জানান, প্রথমে ছোট পরিসরে ৩ শতক জমিতে ২০১৬ সালে ২৮টি পিলার দিয়ে শুরু করি খাওয়ার জন্য। পরে দেখি ব্যাপক ফলন হয়েছে। আমার সফলতা দেখে পরিবার থেকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করে এবং পরিবারের সবাই বাগানে শ্রম দেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত