ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নীলফামারীতে মুঘল আমলের তিন গম্ভুজ মসজিদ

সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের
নীলফামারীতে মুঘল আমলের তিন গম্ভুজ মসজিদ

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবারী ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরী গ্রামে মুঘল আমলের তিন গম্ভুজ এবং বারো মিনার বিশিষ্ট একটি মসজিদ চিহ্নিত করেছে এলাকাবাসী। তারা মসজিদটি সংরক্ষণ ও সংস্কারের দাবি জানান। মসজিদটি নীলফামারী সদর উপজেলা থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মসজিদের দৈর্ঘ্য ১৫ হাত, প্রস্থ ৩ হাত। মসজিদটির তিনটি গম্বুজ ১৫ ফুট ও ১২টি মিনার ১৫ ফুট উঁচু। দেয়ালের ওপরের দিকে ফুল ও লতার ছবি আঁকা। কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদটি প্রাচীন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে অনেক পর্যটক এই মসজিদটি দেখতে আসেন। মসজিদ আকারে ছোট হলেও প্রাচীন কারুকার্যে তৈরি নকশা ও গম্বুজগুলো বেশ দৃশ্যমান। মসজিদের দেয়ালে দরজার ওপরে কিছু আরবি লেখা আছে যা অস্পষ্ট। মসজিদটির বয়স প্রায় ৬০০ বছর। এটি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময়কালের বলে ধারণা করা হয়। তবে সংরক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে মসজিদটি প্রায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে হারিয়ে যাবে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ঐতিহাসিক এই মসজিদ। স্থানীয় ব্যক্তি কবির হোসেন বলেন, বাব-দাদার কাছ থেকে শুনেছি শেষ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়, মসজিদটি এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে, সরকারীভাবে মসজিদটি সংস্কার করে দিলে আমরা নিয়মিত নামাজ আদায় করতে পারব।

মসজিদটির নকশা ও গম্বুজগুলো বেশ দৃশ্যমান হওয়ায় সারাদেশ থেকে অনেক পর্যটক ছুটে আসেন গোল মুন্ডার এই গ্রামে। স্থানীয় মশিউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ মসজিদের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে, দেয়ালের মাঝেমাঝে প্লাস্টার খসে পড়ছে, তার মধ্যে এলাকাবাসী যতটুকু পেরেছে সংস্কার করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছেন। আমাদের দাবি, সরকার পুরোনো এই মসজিদটি সংরক্ষণ ও সংস্কার করে দিলে আমরা নিয়মিত নামাজ আদায় করতে পারব। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দর্শনার্থীদের দেখার ইচ্ছে পূরণ হবে। গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থেকে আশা পর্যটক শহীদ উদ্দিন ও সুমি পারভীন বলেন, আমরা শুনেছি মসজিদটি ঐতিহাসিক এবং দেখতে অনেক সুন্দর, তাই এসেছি প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূর থেকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত