ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ

উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় মাদক না পেয়ে মাদক দিয়ে অসুস্থ হোটেল শ্রমিককে ফাঁসানোসহ অর্থ বাণিজ্যের তদন্তে নেমেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বিভিন্ন গণমাধ্যমে হোটেল শ্রমিককে ফাঁসানোসহ অর্থ বাণিজ্যের সংবাদটি বিভিন্ন সংবাদপত্র গুরুত্বের সঙ্গে পরিবেশন করে। নড়েচড়ে বসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা ডেপুটি ডিরেক্টর হাসেম আলীকে প্রধান করে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকালে পাড়ায় তদন্ত দলটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময়ে তারা সাক্ষীদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন। ২১ জুন বুধবার ঝিনাইদহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের অভিযানিক দল ৪ ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করেন। মাদক উদ্ধারে এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন ঝিনাইদহ মাদক নিয়ন্ত্রণ অফিসের উপ-পরিদর্শক আলতাফ হোসেন। এই সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিদর্শক মোহাম্মদ বোরহানুর রহমান মৃধা, সহকারী পরিদর্শক আব্দুর রশিদ, সহকারী পরিদর্শক পাপিয়া সুলতানা, ড্রাইভার ইদ্রিস মোল্যাসহ কয়েকজন। অভিযানের সময় এক ঘুমন্ত হোটেল শ্রমিককে মাদক মামলায় ফাঁসানোসহ মোট ৭৪ হাজার টাকা অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে ঐ আভিযানিক দলের বিরুদ্ধে। এ ব্যপারে সংবাদ সংগ্রহ করতে উপ-পরিদর্শন আলতাফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিককেও রুপসা গাড়ির ভেতর থেকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। ঢাকালে পাড়ার বাসিন্দা জুয়েল রানার বাড়িতে ঢুকে একপর্যায়ে কোনো মাদক না পেয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় আলমগীরকে ডেকে ১৭ পিস ইয়াবার কৌটা হাতে ধরিয়ে দেন উপ-পরিদর্শক আলতাফ হোসেন। এ সময়ে জুয়েল রানাকেও হাতকড়া পরিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। বাড়িতে থাকা জুয়েল ও তার সহধর্মিণীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতি দেখিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে সেখানে উপস্থিত থাকা এই মামলার এক নম্বর সাক্ষী আসাদুল জামান বাবুর মাধ্যমে দেনদরবার করে জুয়েলের সহধর্মিণী। পরবর্তীতে বাবুর হাত থেকে সহকারী পরিদর্শক আব্দুর রশিদ ৬৮ হাজার টাকা নগদ গ্রহণ করেন এবং তল্লাশির সময়ে জুয়েলের মানিব্যাগ থেকে ৬ হাজার টাকাও তারা নিয়ে নেন।

একই সাথে আলাদা ঘরে জুয়েল ও তার স্ত্রীর নিকট থেকে জোরপূর্বক কোথাও কিছু খুয়া যায়নি বা অর্থ লেনদেন করিনি এই মর্মে ভিডিও বক্তব্য ধারণ করেন। এ সময়ে বেড রুমে থাকা সিসি ক্যামেরা তারা ভাংচুর করে। কালীঞ্জ থানার ১৩/২৩ মামলার ১নং সাক্ষী আসাদুল জামান বাবু ৬৮ হাজার টাকা কর্মকর্তাদের হাতে দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও ওই মামলার ২নং আসামি একই উপজেলার দেবরাজপুর গ্রামের অধির দাসের ছেলে বিকাশ দাস মাদক উদ্ধার এবং এই মামলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর হাসেম আলী তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত