‘ফ্রেন্ডশিপ এনজিও’র অপকর্ম থামাতে পারছে না কেউ

প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার, উখিয়া (কক্সবাজার)

কক্সবাজার জেলার ১৮০ জন ছেলেমেয়েকে চাকরিচ্যুত করে সরকারি বন্ধের দিন গত শুক্রবারে ইন্টারভিউ নেওয়ার মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে ফ্রেন্ডশিপ এনজিও’র বিরুদ্ধে। স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম-দুর্নীতি, মনোরঞ্জন ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিরোধী কর্মকাণ্ড বর্তমানে এনজিও ফ্রেন্ডশিপের অলংকারে পরিণত হয়েছে। এছাড়া এনজিওটি সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলার বাইরের চাকরি প্রত্যাশীদের ইন্টারভিউতে ডেকে অর্থ আদান প্রদান/দরকষাকষির বৈঠকে এনে নিয়োগ বাণিজ্য করে। নগদ অর্থ লেনদেন করলেই নিমিষেই চাকরি জুটে জেলার বাইরের ছেলেমেয়েদের। স্থানীয়রা জানান, ফ্রেন্ডশিপ এনজিওতে হাতেগোনা যে কয়েকজন উখিয়া-টেকনাফ তথা কক্সবাজারের স্থানীয় লোকজন চাকরি করে তারা সবাইই একদম নিম্ন পজিশনে। তাদেরও সুকৌশলে বিভিন্ন অজুহাতে চাকরিচ্যুত করা হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলা প্রশাসন, আরআরআরসি অফিস ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নিজেদের ইচ্ছে মতো, নিজেদের সৃষ্টি করা নিয়মেই চলে ফ্রেন্ডশিপ নামক এই লুটপাটকারী এনজিওটি মানবিক কাজ এনজিওতে চলমান রয়েছে ৬ প্রজেক্ট, যার মধ্যে চারটি হেলথ প্রজেক্ট, একটি একটি এডুকেশন প্রজেক্ট ও একটি ক্লাবো প্রজেক্ট। স্থানীয়ভাবে এডুকেশন প্রজেক্ট দেখভাল করেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার মহসিনুল আলম ও হেলথ প্রজেক্ট দেখভাল করেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আশিক। স্থানীয়দের ৪০ শতাংশ চাকরি দেওয়ার জন্য সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না এনজিও ফ্রেন্ডশিপ। এডুকেশন ও হেলথ প্রজেক্টগুলোতে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আত্মীয়স্বজন ছাড়া কারো চাকরি হয় না। ২০২২ সালে নারী স্টাফদের যৌন হয়রানি করার প্রতিবাদে এডুকেশন প্রজেক্টের কিছু স্টাফ আন্দোলন গড়ে তুলে ফ্রেন্ডশিপ এনজিও অফিস ঘেরাও করেছিল। পরে ফ্রেন্ডশিপ এনজিও কর্তৃপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওই প্রজেক্টের ৩০ জন স্টাফকে বিনা নোটিশে একসাথে সাসপেন্ড করে দেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মফিদুল ইসলাম আমলে নিয়ে দ্রুতভাবে ওই হাসপাতালের নির্মাণকাজ বন্ধ এবং দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করার জন্য ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের এমডি রুনা খানের বরাবর নোটিশ প্রদান করা কথা চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ফ্রেন্ডশিপ এনজিও এসব অনিয়ম দ্রুত বন্ধ করতে এনজিও ব্যুরো, আরআরআরসি, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকসহ কর্তৃপক্ষে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।