ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফেনীতে ডিমের বাজার অস্থির

হাঁসের ডিমের হালি ৭২ টাকা, মুরগি ৬২
ফেনীতে ডিমের বাজার অস্থির

সারাদেশের মতো ফেনীতেও ডিমের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে হাঁসের ডিমের দাম হালিতে ১৬ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া মুরগির ডিমের দাম প্রতি হালিতে ১৫ থেকে ১৮ টাকা বেড়েছে। তবে ব্যবসায়ী ও খামারিদের দাবি, উৎপাদন খরচ বাড়ার অজুহাতে ডিমের দাম বেড়েছে। গতকাল ফেনী বড়বাজার, সুলতান মাহমুদ পৌর হকার্স মার্কেট, মহিপাল বাজার, মুক্ত বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগে পাইকারি পর্যায়ে মুরগির ডিম প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৪৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন সেই ডিম পাইকারি পর্যায়ে প্রতি হালি ৬০ ও মুদি দোকানে খুচরা পর্যায়ে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫৬ টাকা হালির হাঁসের ডিম খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকায়। বাজারে ডিম কিনতে আসা দিনমজুর জয়নাল বলেন, মাছ ও মাংসের দাম বেশি হওয়ায় গত দুই মাস ধরে তিনি মাছ-মাংস বাদ দিয়ে ডিম কেনেন। মাঝেমধ্যে বাড়িতে ছেলেমেয়েদের মাংসের আবদার থাকলেও দামের সঙ্গে আয়ের মিল না থাকায় আজও ডিম কিনতে এসেছেন। তবে চারদিনের ব্যবধানে আজ একই দোকানে সেই ডিম কিনতে গেলে ৬০ টাকা হালি চাচ্ছেন। তবে দাম বাড়লেও লাভ বাড়েনি বলে দাবি করেছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ডিম ব্যবসায়ী নুর নবী বলেন, মুরগির খাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎ বিল ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন খরচ বেড়েছে। এ কারণে পাইকারি বাজারে ডিমের দাম বেড়েছে। আগে প্রতি হালি ডিমে দুই-তিন টাকা লাভ হতো। এখনো লাভ তাই আছে। গত শুক্রবার খামারে পাইকারিভাবে একটি ডিমের দাম পড়েছে ১৩ টাকা ৮০ পয়সা। এরপর পরিবহন, দোকান ভাড়া এবং শ্রমিকের মজুরিসহ আনুষঙ্গিক খরচ মিলে একটি ডিমের দাম দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৫০ পয়সা। এতে করে একটি ডিম ১৫ টাকা বিক্রি ছাড়া উপায় নেই। খামারি আবুল ফোরকান জানান, তার খামারে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মুরগি রয়েছে। মুরগির খাদ্য, ওষুধ ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাদেরও খরচ পোষাতে বেশি দামে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে।

লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ চলে গেলে খামারে জেনারেটর ব্যবহার করতে হচ্ছে। শনিবার তার খামার থেকে ১৩ টাকা ৮০ পয়সা দরে প্রায় ছয় হাজার ডিম বিক্রি করেছেন। এরপরও তার খরচ তুলতে কষ্ট হবে বলে তিনি দাবি করেন। ডিমের আকস্মিক দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির পাঁচগাছিয়া রোড শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন লিটন বলেন, বাজারের প্রায় সবকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে কিছু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্য অতিরিক্ত বাড়িয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারেন। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত