নওগাঁয় জমির উর্বরতা বাড়াতে কেঁচো সার ব্যবহার

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আব্বাস আলী, নওগাঁ

জমির উর্বরতা বাড়াতে ভার্মি কম্পোষ্ট (কেঁচো সার) উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ছে নওগাঁর চাষিদের। নিজেরা ব্যবহারের পাশাপাশি বাড়তি সার বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তারা। আবার অনেকে কেঁচো সার উৎপাদনকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তবে কৃষি বিভাগ থেকে প্রণোদনা বাড়ানোসহ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন চাষিরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে- জেলায় ৫৭৫ জন কৃৃষক প্রতিমাসে প্রায় ৮৭ মেট্রিক টন কেঁচো সার উৎপাদন করছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত ৮৫ জনকে প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। গোবর ও আবর্জনা খেয়ে মল ত্যাগের পর তৈরি হয় কেঁচো সার। যা প্রক্রিয়া হতে প্রায় ২৫ থেকে ২৮ দিন সময় লাগে। জমির উর্বরতা বাড়াতে কেঁচো সার ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। স্থানীয় চাষিরা এসব সারের ক্রেতা। কেউ কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কেঁচো সার তৈরি করছেন। আবার কেউ বেসরকারি সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আবার কেউ প্রতিবেশীদের কাছ থেকে দেখে দেখেও কেঁচো সার উৎপাদন করছেন। কেউ প্রণোদনা পেয়ে কেঁচো সার উৎপাদন করছেন। কেউ বা বাজার থেকে উপকরণ কিনে কেঁচো সার উৎপাদন করছেন। কেঁচো সার উৎপাদন উপকার পাওয়ায় চাষিদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। প্রতিকেজি কেঁচো সার বিক্রি হয় ১২ থেকে ১৫ টাকা। স্বপন কুমার বলেন- আমার আগ্রহ দেখে পরবর্তীতে ২০২১ সালে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ‘আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী’ আওতায় ১৪টি হাউজ তৈরি করে দেয়। যেখানে প্রায় ১ হাজার ২০০ কেজি গোবর রাখা যায়।

এই পরিমাণ গোবর থেকে প্রতিমাসে প্রায় ৬০০ কেজি কেঁচো সার উৎপাদন হয়। গত ২ বছরে নিজের জমিতে ব্যবহারের পর প্রায় ১ লাখ টাকা বিক্রি করে লাভবান হয়েছি।

নিজের গরু থাকায় সার উৎপাদনে বাড়তি কোনো খরচ হয় না। এছাড়া প্রতিবেশীদের ফেলে দেওয়া গোবর ও আবর্জনা পাওয়ায় অনেকটা সুবিধা হয়। মান্দা কৃষি অফিসার মোছাঃ শায়লা শারমিন বলেন- মাটিতে জৈব পর্দাথের পরিমাণ বাড়াতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। এলক্ষ্যে কৃষকদের জৈব সার ও কেঁচো সার উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এ উপজেলায় গত ৫ বছর আগে হাতে গোনা কয়েকজন কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করলেও এখন তার সংখ্যা ১৮৩ জন। প্রতিমাসে সাড়ে ৫ মেট্রিক টন কেঁচো সার উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬৬ হাজার টাকা। উপজেলায় ৩৬ জন কৃষককে কেঁচো সার উৎপাদনে প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।