ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বরগুনায় নার্স সহকারীকে ধর্ষণেরু চেষ্টা

বরগুনায় নার্স সহকারীকে ধর্ষণেরু চেষ্টা

বরগুনার বামনা উপজেলা শহরের একটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নার্স সহকারীকে জনৈক ব্যবসায়ী বাবুল হাওলাদার (৪৮) কর্তৃক শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বরগুনা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় জানা গেছে, বামনা উপজেলার পূর্ব শফিপুর গ্রামের মৃত শুক্কুর হাওলাদারের পুত্র মো. বাবুল হাওলাদার (৪৮) বিভিন্ন সময় পথেঘাটে ও হাসপাতালে বসে ওই নার্স সহকারীকে আকার ইঙ্গিতে খারাপ প্রস্তাব দিয়ে যৌন হয়রানি করে আসতে থাকে। গত ৯ আগস্ট বিকাল ৪টার দিকে ইসলামিয়া হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তারের রুম প্রস্তুত করার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাবুল হাওলাদার প্রবেশ করে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে অশোভন আচরণসহ কুপ্রস্তাব দেয়। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে ঝাপটে ধরে পড়নের কাপড় টেনে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার দিলে আসামি বাবুল হাওলাদার ক্ষিপ্ত হয়ে কিল-ঘুসি, লাথিসহ মাথার চুল টেনে ধরে শারীরিক-নির্যাতন করে। ঘটনাস্থলে লোকজন উপস্থিত হয়ে ধর্ষণচেষ্টার শিকার ওই নারীকে স্থানীয়রা বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এ বিষয়ে বরগুনা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ধর্ষণচেষ্টার শিকার ওই নারী জানান, ১৪ আগস্ট রাত ১০টার দিকে বামনা থানায় যাওয়ায় কর্তব্যরত অফিসার ইনচার্জ মামলা না নিয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেন। ইসলামিয়া হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক এইচএম আল আমীন জানান, বাবুল হাওলাদার এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এরকম একটা জগণ্য কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে এলাকায় বুক ফুলিয়ে বেড়াচ্ছে। মেয়েটি ধর্ষণচেষ্টার প্রতিকার চাইতে গেলে বাবুল হাওলাদার অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। মেয়েটি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ব্যাপারে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাইনুল ইসলাম জানান, মেয়েটি থানায় এসেছিল। আমি বলেছি ধর্ষণের মতো কোনো ঘটনা ঘটলে মামলা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কিন্তু তারা শুধু একটা জিডি করে চলে গেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত