ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যমুনার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

চরাঞ্চল প্লাবিত
যমুনার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ১০ দিনের বেশি সময় ধরে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধির সঙ্গে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও খাল-বিলেও পানি বাড়তে শুরু করেছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যমুনা নদীর চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা ও ফসলিজমি প্লাবিত হয়ে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটছে। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার জানান, সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৭৪ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা-১২ দশমিক ৯০ মিটার)। অন্যদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৪৬ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা : ১৪.৮০ মিটার)। অপরদিকে, দ্রুত যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপু ও চৌহালী উপজেলার অভ্যন্তরীণ চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে। ফসলের মাঠ তলিয়ে বসতবাড়িতেও পানি উঠছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, কয়েক দিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আরো দুই থেকে তিন দিন পানি বাড়বে। এর মধ্যে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। স্বাভাবিক প্লাবন হলেও বন্যা বা কঠিন অবস্থা তৈরির আশঙ্কা কম বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত