রাজবাড়ীতে কানাকুয়া পাখি দুটি অবমুক্ত

প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীতে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা বিলুপ্ত প্রায় ২টি কানাকুয়ার বাচ্চাকে ২ মাস লালন-পালনের পর আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের সজ্জনকান্দা টিঅ্যান্ডটি পাড়া এলাকায় সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তী বাড়ির পাশে পাখি দুইটিকে অবমুক্ত করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো.খায়ের উদ্দীন আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পল্ট্রি ডেপোলাপমেন্ট অফিসার মেহেদী হাসান, আহত কানাকুয়া পালনকারী সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তী, পাখি দুইটি উদ্ধারকারী আশরাফুল আলম আক্কাস, সোনিয়া আক্তার স্মৃতি প্রমূখ। জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে রাজবাড়ী সদরের খানগঞ্জের বেলগাছি স্টেশন এলাকায় বাসা ভেঙে মাটিতে পরে মারাত্মকভাবে আহত হন ৭ দিন বয়সী দুইটি কানাকুয়ার বাচ্চা। পরে পাখির বাচ্চা দুইটিকে স্থানীয় লালন ভক্ত আক্কাস উদ্ধার করে চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য প্রাণিসম্পদ অফিসসহ ৯৯৯-এ ফোন যোগাযোগ করে ব্যর্থ হন। পরে সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তীকে বিষয়টি জানালে তিনি চারুকারুর শিল্পি আবু আব্দুল্লাহ স্বপন ও অনন্ত সরকারকে পাঠিয়ে কানাকুয়ার বাচ্চা দ্ইুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে তার তত্ত্বাবধানে রেখে চিকিৎসা করেন। এরপর পরমযত্নে প্রায় দুই মাস লালন-পালন করে সুস্থ করে তোলেন। এসময় পাখির বাচ্চা দুইটিকে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ, পোকা-মাকড়, পিপড়ার ডিম, বয়েল ডিম খাইয়ে বড় করেন। দীর্ঘদিন পর পাখির বাচ্চা দুইটি সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ায় অবমুক্ত করা হয়। সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তী বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই পশু-পাখি লালনপালন করি। সেই জায়গা থেকে পশুপাখির প্রতি আমার আলাদা একটি টান রয়েছে। যখন খবর পাই দুইটি কানাকুয়ার বাচ্চা অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া গেছে, তখন সেই পাখির বাচ্চা দুটিকে আমার তত্ত্বাবধানে নিয়ে এসে চিকিৎসা করি। প্রায় দুই মাস লালনপালনের পর পাখি দুটি অবমুক্ত করলাম। সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. খায়ের উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তী পাখি দুটিকে লালন পালন করে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করেছেন। এটা সত্যিই খুব প্রশংসনীয় কাজ। সমাজের প্রতিটি মানুষেরই পশুপাখির প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত।