লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ১১ বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিচারে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করে বিচারকবৃন্দ ১ লাখ টাকা নেয় এবং প্রতিবন্ধী শিশুর পরিবারকে ৪ লাখ টাকা প্রদান করে। জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ভিআইপিপাড়া এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম গত মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে নানা প্রলোভনে ফুঁসলে তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেছেন। শফিকুল ইসলাম ও শিশুর বাড়ি পাশাপাশি। প্রতিবন্ধী পরিবারের লোকজন এক রোগীকে নিয়ে ক্লিনিকে যাওয়ায়, বাসায় একা পেয়ে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে শফিকুল ইসলাম। এ সময় প্রতিবেশী লোকজন টের পেয়ে শফিকুলকে তার নিজ শয়নকক্ষে এসে হাতেনাতে আটক করে। খবর পেয়ে তার ভাইয়েরা এসে তড়িঘড়ি করে রফাদফা করার চেষ্টা করে। মেয়ের পরিবারের এক নিকটাত্মীয়ের প্রতিবাদে সে বৈঠক ভেঙে যায়। পরে একটি প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে রফাদফা হয়ে যায়। মেয়ের পরিবার ৪ লাখ টাকা পেলেও ১ লাখ টাকা বিভিন্ন মহলে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয় বলে জানা গেছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে সব মহলে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করছে। অথচ প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ আপোসযোগ্য ঘটনা নয়। শিশুটির নিকটতম এক আত্মীয় বলেন, শফিকুলকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে বিষয়টি আপোস-মীমাংসা করা হয়। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, শফিকুলকে ধর্ষণ করা অবস্থায় আটক করা হয়েছে। পরে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি আপোস-মীমাংসা করা হয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার কথা তো বিশ্বাস করবেন না। তাই পরে কথা বলব। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহ আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
