ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হুমকিতে ডিমলার কয়েকশ’ বিঘা আমন ধান

হুমকিতে ডিমলার কয়েকশ’ বিঘা আমন ধান

নীলফামারীর ডিমলায় বালাপাড়া ইউনিয়নে কচুবাড়ীর দলায় এখন বর্ষার পানি। এরই মধ্যে আমন ধানের বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠ। মাঠের সবুজ দৃশ্যটি চোখ জুড়ালেও এর পেছনে রয়েছে কয়েকশ’ কৃষকের হাসি-কান্না। কৃষকদের অভিযোগ, প্রতিবছর ওই এলাকার প্রায় কয়েক হাজার বিঘা জমিতে কৃষকরা বর্ষা মৌসুমে আমন ধান রোপণ করতে পারে না। প্রায় ৬০ মিটার বুড়িতিস্তা নদীর ভাঙা বাঁধটি সংস্কারের অভাবে এলাকার কৃষকদের প্রায় কয়েকশ’ বিঘা জমির রোপণকৃত আমন আবাদ হুমকির মুখে। ফলে প্রতিনিয়ত ওই এলাকার কৃষকরা অভাব-অনটনের মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে। বাঁধটি মেরামতসহ বুড়িতিস্তা নদী খননের দাবি এলাকাবাসীর। সরেজমিনে দেখা যায়, বুড়িতিস্তা নদীর পূর্বপাশ ঘেঁষা কচুবাড়ীর দলা সংলগ্ন বাঁধটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে মেরামত করা হয়নি। ফলে নিজ সুন্দর খাতা, মধ্যম সুন্দর খাতা, দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষকদের প্রায় হাজার হাজার বিঘা জমিগুলো আমন ধান চাষাবাদে অনুপযোগী। যার জন্য কৃষকদের জমিগুলো প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পতিত থাকে। এ বছর বর্ষার পানি কম থাকায় কৃষকদের উৎসাহ-উদ্দীপনার শেষ নেই। কৃষকরা আমন ধান রোপণ করেছে। বুড়ি তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ধানের চারাগুলো পানিতে ডুবে আছে আবার কোথাও কোথাও পচে নষ্ট হয়ে গেছে।

বাঁধটির ভাঙা অংশ দিয়ে নদীর পানি প্রবাহের ফলে চলতি মৌসুমে চাষাবাদকৃত ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশুসম্ভাবনা রয়েছে। কয়েকজন কৃষক জানান, বাঁধ মেরামত না করায় দীর্ঘদিন ধরে বর্ষা মৌসুমে আমন ধান চাষাবাদ করতে পারছেন না তারা। বাঁধ নির্মাণ করে জমিগুলো বছরে দুই থেকে তিনটি ফসল চাষযোগ্য করার দাবিতে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে গণস্বাক্ষরসহ আবেদন দিয়েছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জমিগুলো প্রতি বছর পতিত থাকে শুধু বুড়ি তিস্তা নদীর বাঁধটি সংস্কার না হওয়ার কারণে। বাঁধটি মেরামত করা হলে অত্র এলাকার কৃষকরা জমিগুলোতে নির্ভয়ে আমন ধান চাষাবাদ করতে পারবে। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, বর্ষার পানিতে বাঁধটি কয়েক বছর আগে ভেঙে যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে বাঁধটি মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, কী কারণে এত দীর্ঘ সময় বাঁধটি সংস্কার করা হয়নি, তা খতিয়ে দেখা হবে এবং বাঁধটি সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত