চিরিরবন্দরে ভাগিনাকে পিটিয়ে হত্যা : দুই মামা আটক

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

চিরিরবন্দরে মাদকাসক্ত ভাগিনাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে আপন দুই মামা। এ ঘটনাটি উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের শান্তিবাজার সংলগ্ন লক্ষ্মীপুর গ্রামের উত্তরপাড়ায় গত বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার সময় ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের মাতা লাইজুয়ারা বেগম গত বৃহস্পতিবার বিকালে বাদী হয়ে ৬ জন নামীয় ও অজ্ঞাত চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

থানা হতে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, অমরপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে লাবু হোসেন লিমন (২৫) দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। প্রায়ই তার পিতামাতাকে মাদকের টাকার জন্য মারধর করত। মাদকের টাকার সংগ্রহের জন্য চুরি ছিনতাই রাহাজানি করত। সে মোটরসাইকেল, গরু চুরি থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করত। বাড়ির মালামাল অন্যত্র বিক্রি করে মাদক সেবন করত। বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে মাদকসহ আটকও হয়েছে। জামিনে ছাড়া পেয়ে পুনরায় একইরকম আচরণ করত। এ নিয়ে পরিবারে নিত্যদিন অশান্তি বিরাজ করত। গত মাসখানেক আগে পুনরায় জামিনে বের হয়ে মাদকের টাকার জন্য বুধবার রাতে পিতা-মাতার উপর চড়াও হয়ে মারধর ও অত্যাচার শুরু করলে তার পিতা শহিদুল ইসলাম ও মাতা লাইজুয়ারার নির্দেশে বড়মামা হায়দার আলী ও ছোট মামা হাসমত আলী দ্রুত তাদের বাড়িতে এসে ভাগিনা লাবুকে শাসন করার জন্য দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে হাতে ও পায়ে লোহার রড দিয়ে মারধর শুরু করলে রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তারাই দ্রুত ভাগিনাকে চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। এ ঘটনার পর পুলিশ জানতে পেরে দ্রুত অভিযান চালিয়ে দুই মামা হায়দার আলী (৫৫) ও হাসমত ওরফে হাসুকে (২৬) আটক করে এবং মরদেহ উদ্ধার করে। চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশিদ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুর আলম বাবু জানান, উক্ত ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আরো অধিকতর তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।