দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নিখোঁজের একদিন পর করতোয়া নদী থেকে তপন চন্দ্র মোহন্ত ওরফে নেদার (৪৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। গত বৃহস্পতিবার বিকালে করতোয়া নদীর জোসনা বেগমের ইটভাটা সংলগ্ন চাম্পাতলীর ঘাটে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। নিহত তপন চন্দ্র মোহন্ত ওরফে নেদার (৪৮) পাশ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নের করতোয়া পাড়া গ্রামের মৃত ক্ষীতিস চন্দ্র মোহন্ত ওরফে কাঞ্চিয়া মাস্টারের ছেলে। তিনি পেশায় পশু খাদ্যের ব্যবসায়ী ছিলেন। ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার আজাদমোড়ে মহাসড়ককের ধারে তার দোকান আছে। পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার দুপুরে দোকান থেকে করতোয়া নদীতে সাঁতার দিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন নিহত তপন চন্দ্র। হঠাৎ তিনি পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। এরপর পরিবারের লোকজন রাত পর্যন্ত নদীর বিভিন্ন ঘাটে খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পাওয়ায় স্থানীয় ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ নিরঞ্জন সরকার বলেন, ‘গত বুধবার রাত ৯টায় আমরা খবর পাই। তাৎক্ষণিক পরিবারের দেখানো নদীর বিভিন্ন স্থানে ঘণ্টাব্যাপী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গত বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর থেকে আমাদের ডুবুরি দলের সদস্যদের নিয়ে আবারো দ্বিতীয় দফায় নদীতে অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনা করা হয়। নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি।’ ঘোড়াঘাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাহাত আহম্মেদ বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার সময় চাম্পাতলীর ঘাটে নিখোঁজ তপনের ভাসমান মরদেহ দেখতে পায় গ্রামবাসী। তারা মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। লোকজন মরদেহটিকে বাড়িতে নিয়ে যায়।’ ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক বলেন, ‘নিখোঁজের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর স্থানীয় লোকজন নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে বলে জানতে পেরেছি।