ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুরাদনগরে সংযোগ সড়ক না করেই কালভার্ট নির্মাণ!

বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার
মুরাদনগরে সংযোগ সড়ক না করেই কালভার্ট নির্মাণ!

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল ইউনিয়নের রোয়াচালা গ্রামের রোয়াচালা-কুড়াখাল সড়কের রোয়াচালা উত্তরপাড়া আহাদ মিয়ার বাড়ির পাশের খালে অপরিকল্পিতভাবে সেতু নির্মাণ করায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। প্রায় দুই বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা স্থানীয়দের। লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি-৩) কর্মসূচির অধীনে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় বড় আকারের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে স্থানীয়রা। ঠিকাদারের সঙ্গে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এই কালভার্টটি নির্মাণ করে সরকারি অর্থের লুটপাট হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এলাকাবাসীর দাবি অচিরেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এদিকে নজর দিবে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ২৫-৩০ ফুট প্রস্থ খালের উপর নির্মাণ করা হয়েছে এই সেতুটি। সেতুর দুই পাশ দিয়ে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে রোয়াচালা-কুড়াখাল সড়ক দিয়ে তিন গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার লোক যাতায়াত করছেন। পাশাপাশি কুড়াখাল ও কুরুন্ডি গ্রামে ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের জন্য মাটির বরাদ্দ থাকলেও সেখানে মাটি ফেলায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জানা যায়, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এলজিএসপি-৩ এর আওতায় রোয়াচালা আহাদ মিয়ার বাড়ির সামনে কুড়াখাল সড়কের উপর সেতু নির্মাণ ও সংযোগ সড়কের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার বরাদ্ধ দেওয়া হয়। যা গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাস্তবায়ন করা হয়। নাম প্রকাশে না করার শর্তে গ্রামবাসীর অভিযোগ, কোন পরিকল্পনা না করেই প্রকল্পের শেষ পর্যায় এসে পকেট ভারি করতেই তড়িঘড়ি করে অপরিকল্পিত ভাবে কালর্ভাটি নির্মাণ করা হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা মধ্যদিয়ে সেতু নির্মাণ করা হলে মানুষের কাজে লাগতো এবং সরকারী টাকা অপচয় হতো না। শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল বাহার মুঠো ফোনে জানান, সেতুটির দুই পাশ খুব গভীর হওয়ায় বরাদ্দের সময় সংযোগের জন্য যে টাকা ধরা হয়েছিল তা দিয়ে সম্ভব হয়নি।

বর্তমানে বর্ষার পানির জন্য দূর থেকে মাটি আনা যাচ্ছে না। আগামী কিছু দিনের মধ্যে পানি কমলেই সেখানে মাটি ফেলে সেতুর সঙ্গে সংযোগ করে দেয়া হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হাই খান বলেন, ‘এলজিএসপি’ প্রকল্পটি আমার আওতায় না। এটি চেয়ারম্যানদের প্রকল্প। এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভূঞা জনী বলেন, আমি মুরাদনগর উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পূর্বে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খুব দ্রুতই সেখানকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে সড়কের সঙ্গে সেতুটির সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত