মৌসুমের ‘সময়’ পাল্টে দিয়েছে বারি উদ্ভাবিত আমের জাত

প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমাস আলী, ঈশ্বরদী (পাবনা)

মধুমাস (জ্যৈষ্ঠ) শেষ হয়েছে দুই মাস আগেই। এই সময়ে দেশে যেসব ফল পাওয়া যায়, তার প্রায় সবই ফুরিয়েছে। এখন মিলছে শুধু আম-কাঁঠাল। কাঁঠালও একেবারে শেষের দিকে। বাজারে মিলছেও কম। তবে কিছুটা ভিন্ন চিত্র আমের ক্ষেত্রে। মৌসুমের একেবারে শেষদিকেও ঈশ্বরদীর বাজারে এখনো আমের সরবরাহ ভালো। আম্রপালি ও বারি জাতের কল্যাণে এখনো মিলছে আম। দাম একটু বেশি হলেও যেসব আম পাওয়া যাচ্ছে, তা স্বাদ-গন্ধে ভালো। বিক্রেতারা জানান, দুই বছর আগেও এ সময়টাতে (আগস্ট) আম্রপালি ও ফজলি জাতের কিছু আম পাওয়া যেত। বারি আম থাকলেও সরবরাহ খুব কম ছিল। কিন্তু এবার ফজলি, আশ্বিনা আমের সরবরাহ কম, আম্রপালি ও বারি আম বেশি। শেষ দিকে জাত ও মানভেদে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে আম পাওয়া যাচ্ছে। এই দাম তুলনামূলক কম বলে দাবি বিক্রেতাদের। যেসব এলাকা থেকে তারা (ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা) আম আনছেন সেখানে আরো সপ্তাহে খানিক আম্রপালি এবং বারি জাতের আমের ভালো সরবরাহ পাওয়া যাবে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার পৌর শহরের বাজারের আশপাশের বাজার ও গ্রামের হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখনো এসব এলাকার খুচরা বাজারেও মিলছে পর্যাপ্ত আম। বাজারে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ থেকে আম আসছে। মৌসুম শেষের দিকে হলেও এখনো আমের বেচাকেনা ভালো। ঈশ্বরদী পৌরশহরের বাজারের ভেতরে ফল ব্যবসায়ী রিপন শেখ বলেন, ‘এখন ফজলি আমের সরবরাহ খুব কম। আগে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রচুর ফজলি আম আসত। শেষ দিকে ফজলি ও আশ্বিনা আম দিয়ে আমের সিজন (মৌসুম) শেষ হতো।