ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নদীতে বিলীন হতে চলেছে বাঁশের হাট

নদীতে বিলীন হতে চলেছে বাঁশের হাট

যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে চন্দ্রপুর গ্রামের আতাই নদের চরে গড়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের হাট। ৫২ বছর ধরে চলা এই হাটে দিন দিন ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যা বেড়েই চলছে। সপ্তাহে প্রতি বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঁশের বেচাকেনা। নদের ভাঙনের কারণে আজ ঐতিহ্যবাহী বাঁশের হাটটি নদীর ভূগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। বাশেঁর হাটটিকে নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা ও একটি চান্দিনার দাবি করেছেন হাট কর্তৃপক্ষ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতা আসেন এই বাঁশের হাটে। হাটে এসে তাদের চাহিদা অনুযায়ী বাঁশ কেনাবেচা করেন। ঐতিহ্যবাহী এই হাটটি ১৯৭১ সালে স্বল্প পরিসরে শুরু হয়। পরবর্তীতে দিনে দিনে হাটের পরিধি বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে এই হাটটি এ অঞ্চলের বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কেউ বাঁশ কিনতে ব্যস্ত, আবার কেউ ট্রলারে সাজাতে, কেউবা আঁটি বেঁধে নদীতে ভাসাতে ব্যস্তÍ, আবার কেউবা নসিমনে বা ভ্যানে বাঁশ সাজাতে ব্যস্ত। দূর-দূরান্ত থেকে অনেক ব্যবসায়ী এ হাটে বাঁশ কিনতে আসে। যশোরের বসুন্দিয়া থেকে আসা ব্যবসায়ী মো. সাবু খান বলেন, যশোর খুলনার একটা বৃহত্তম বাঁশের হাট। আমরা প্রতি হাটে অনেক টাকার কেনাবেচা করি। এই হাটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা অনেক ভালো। তবে হাটটি নদী ভাঙনের কারণে আমাদের বাঁশ রাখতে অনেক কষ্ট হয়। খুলনা থেকে আসা ব্যবসায়ী মকবুল শেখ বলেন, আমি প্রতি হাটে ৪০০ থেকে ৫০০ বাঁশ কিনে নিয়ে দিঘলীয়া, মধুপুর, হাজীগ্রাম নিয়ে বিক্রয় করে থাকি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত