কেশবপুরে আদালত অমান্য করে লক্ষাধিক টাকার গাছ কর্তন

প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দীর্ঘ ১৮ বছর দখলে থাকা বসতভিটার একটি জমির বিভিন্ন প্রজাতির লক্ষাধিক টাকার ফলদ ও বনজ গাছ প্রতিপক্ষরা কেটে নিয়ে গেছে। প্রতিপক্ষের হুমকিতে জমির মালিক তার জমিতে যেতে পারছে না। এ ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল খালেক বাদী হয়ে যশোর বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের বারুইহাটি গ্রামের মৃত সিরাজ মোড়লের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল খালেক জমি ক্রয় করে বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছ লাগিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন। দীর্ঘ ১৮ বছর পর একই গ্রামের আবুল হোসেন মোড়ল ওই জমি নিজের দাবি করে জবর দখলের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় গত ৯ এপ্রিল শিক্ষক আব্দুল খালেক আদালতে মামলা করেন। যার নং- ৪৭৮/২৩। আদালতের নির্দেশে থানার এএসআই এম মোজাম্মেল হক দুই পক্ষকে নোটিশ করাসহ বিরোধীয় জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এদিকে, গত ১৪ আগস্ট আদালতের এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবুল হোসেন মোড়লের ছেলে আব্দুল আজিজ ও জাহিদুল ইসলাম ২০ থেকে ২৫ জন লোক ভাড়া করে এনে দা, কুড়াল, করাত, লাঠিসোঁটা নিয়ে বিরোধীয় জমির আম, নারকেল, কলা, লিচু ও জামরুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে নিয়ে চলে যায়। শিক্ষক আব্দুল খালেক বাধা দিলে তাকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ১৬ আগস্ট আব্দুল খালেক বাদী হয়ে আবুল হোসেন মোড়ল তার ছেলে আব্দুল আজিজ, জাহিদুল ইসলামসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে যশোর আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কেশবপুর থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষের আব্দুল আজিজ, জাহিদুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালে আমার খালা সেলিনা বেগম তার অংশের জমি মা আখিরোন নেছার নামে দানপত্র দলিল করে দেয়। তারা যে জমির নামপত্তন করেছে সেটা ভোগ দখল না করে আমাদের জমি দখলে রেখেছে। এলাকায় এ নিয়ে সালিসও হয়েছে। জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে কি না তা জানি না। এএসআই এম মোজাম্মেল হক বলেন, আদালতের নির্দেশে উভয় পক্ষকে নোটিশ করাসহ ওই জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শিক্ষক আব্দুল খালেক ক্রয় সূত্রে জমির মালিক হওয়ায় নামপত্তনও তার নামে হয়েছে। জমি বাদীর ভোগদখলে রয়েছে, যা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।