ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নতুন জাতের তরমুজ চাষে সফল কৃষক বদু মিয়া

নতুন জাতের তরমুজ চাষে সফল কৃষক বদু মিয়া

হবিগঞ্জের মাধবপুরে নতুন জাতের তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক বদু মিয়া। বর্ষাকালে বাংলাদেশে তরমুজের চাষাবাদ না হলেও এবার অসময়ে বিদেশি জাতের এসব তরমুজ চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। বাইরে সোনালি রঙের খোসা ও ভেতরে লাল (গোল্ডেন ক্রাউন) মানিয়া জাতের তরমুজগুলোকে দেখে বাংগি ভেবে অনেকেই ভুল করেন। কর্নিয়া (বাংলালিংক) নামে পরিচিত তরমুজের বাইরের অংশ সবুজ কিন্তু ভেতরের অংশ হলুদ। আকারে দেশীয় জাতের তরমুজের চেয়ে কিছুটা ছোট কালো রংয়ের তরমুজ দেখে সবাই অবাক হচ্ছে। সরেজমিন দেখা যায়, ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক নিয়ে বদু মিয়া জমিতে কাজ করছেন। অনেকেই নতুন জাতের এসব তরমুজ দেখতে এসে তার পরামর্শ নিচ্ছেন কীভাবে চাষাবাদ করতে হবে। বদু মিয়া জানান, প্রায় চার একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ জমিতে মানিয়া (গোল্ডেন ক্রাউন), ৮০ শতাংশ জমিতে কার্নিয়া (বাংলালিংক) ও বাকি অংশে ব্লেকবেরি জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। গাছ লাগানোর ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যেই তরমুজ বিক্রির উপযুক্ত হয়ে যায়। ফলে এক মৌসুমে তিনবার এই তরমুজ চাষ করা যায়। চার একর জমিতে চাষাবাদ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। ঢাকার কারওয়ানবাজারে নিয়ে বিক্রি করছেন এসব তরমুজ। দেশীয় জাতের তরমুজের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তার তরমুজ। ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রির আশা করছেন তিনি। তার এ সাফল্য দেখে এলাকার অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন নতুন জাতের এসব তরমুজ চাষে। মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, বর্ষাকালীন তরমুজ চাষে মাধবপুরে কৃষকদের মধ্যে সারা জাগিয়েছেন বদু মিয়া। তিনি কৃষি বিভাগের একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। তার প্রেরণায় প্রতি বছরই জমি ও চাষীর সংখ্যা বাড়ছে।

আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই মাধবপুরের বর্ষাকালীন তরমুজ বিদেশে রপ্তানি করা যাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত