বাড়ির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জুয়েল শেখ, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট)

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পাটাবুকা গ্রামে প্রতিবেশীর বাড়ির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য তামান্না খাতুন ও তার স্বামী তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আজিজার রহমান নামে এক ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যদিও ওই নারী ইউপি সদস্যের দাবি, আমরা কারো বাড়ির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করিনি, এটি মিথ্যা অভিযোগ। অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগীর বাড়ির পানি দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব এবং দক্ষিণ পাশ দিয়ে নিষ্কাশন হচ্ছিল। কিন্তু জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিহিংসামূলক গত ৪ মাস আগে ওই নারী ইউপি সদস্য ও তার চাচা একই এলাকার নৈইমদ্দিন সরদারের সঙ্গে জোগ সাজসে প্রায় ৩ ফিট উচ্চতা করে তাদের বাড়ি সংলগ্ন ফাঁকা সম্পত্তিতে ইটের দেওয়াল তুলে রাখে। এ কারণে ভুক্তভোগীর পরিবারের একমাত্র পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। এতে চরম অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিবারকে। পাটাবুকা গ্রামের ভুক্তভোগী আজিজার রহমান বলেন, জলা বদ্ধতার কারণে আমার সহ ৪ থেকে ৫টি পরিবারের দুভোর্গ হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গসহ বিবাদীকে পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধের বিষয়ে অবগত করলে বিবাদী ড্রেন এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবে মর্মে কথা দিলেও বিবাদী পরবর্তী তা অস্বীকার করে। এর ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বৃষ্টির পানি এবং বাড়ির ব্যবহৃত পানি নিষ্কাশন বন্ধের কারণে উক্ত স্থানে জলাবদ্ধতা হওয়ায় পঁচা, দুর্গন্ধ পানি বাড়িতে প্রবেশ করলে ৪৫টি পরিবারের সবাইকে ঘরবন্ধী অবস্থায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে নারী ইউপি সদস্য তামান্না খাতুনের স্বামী মো. তোফাজ্জল হোসেন মিথ্যা অভিযোগ দাবি করে জানান, আজিজার সবার আগে গ্রামের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয় এবং আমি জমি মাপার আমিনকে নিয়ে এসে অনেকবার মাপামাপি করে দেখি, আমার নিজস্ব জমি প্রায় ১ শতক তার বাড়ির সীমানার মধ্যে থাকায় আমি আমার সীমানায় একটি ৩ ফিট উচ্চতার দেওয়াল নির্মাণ করেছি। এ বিষয়ে বালিঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান চৌধুরী বিপ্লব বলেন, আজিজার গ্রামের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিলে গ্রামের মানুষের চলাচলের ভোগান্তি শুরু হয়। তাকে রাস্তা খুলে দিতে বললে তিনি কোনো কথা শোনে না, আমার কোনো সিদ্ধান্ত না মানলে দুই পক্ষকে আইনের আশ্রয় নিতে বলি। পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. আরিফা সুলতানা বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।