ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শেষ মুহূর্তে ঊর্ধ্বমুখী আমের দাম

শেষ মুহূর্তে ঊর্ধ্বমুখী আমের দাম

নওগাঁর সাপাহারে কয়েক সপ্তাহ আগেও আমের দাম তুলনামূলক কম ছিল। তবে মৌসুমের শেষ পর্যায়ে আসায় এখন বাজারে দাম ঊর্ধ্বমুখী। যদিও চাষিদের দাবি, বর্তমানে বাজারে যে দামে আম বিক্রি হচ্ছে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক কম। এবার বৃষ্টি কম, অতিরিক্ত খরা ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাই আম বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছেন না তারা। অন্যদিকে, কৃষি কর্মকর্তার দাবি, শেষ সময়ে বেশি দামে আম বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। ব্যবসায়ীরা জানান, আমের মৌসুম শেষ হতে চলেছে। বর্তমানে গাছে যে আম আছে তা চাষিরা আস্তে আস্তে বিক্রি করছেন। এখন প্রতিদিনই আমের দাম বাড়বে। বেশি দাম না দিলে বাগানিরা আম দিতে চাচ্ছেন না। এখন আছে অল্প পরিমাণে আম্রপালি। নওগাঁর সবচেয়ে বড় আমের হাট বসে সাপাহারে। সেখানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি মণ আম্রপালি ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা, বারি-৪ জাতের আম ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা, গৌড়মতি ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা, কাটিমন ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা এবং আশ্বিনা ২২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। কৃষক সোহেল রানা বলেন, গত বছরের এ রকম সময়ে প্রতি মণ আম্রপালি ১৪ থেকে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আমগুলোও মণ প্রতি আরো ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি ছিল। উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম গত বছরের তুলনায় এবার কম। বর্তমানের এ দামে খুব একটা লাভ হবে না। কারণ এবার কীটনাশকের দাম বেশি ছিল। এছাড়াও বৃষ্টি কম ছিল ও খরা হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। সাপাহার আম আড়ৎদার সমিতির সভাপতি কার্তিক সাহা বলেন, এবার ব্যবসার লক্ষ্যমাত্রা যা ছিল, সেটা অর্জিত হয়নি। এর কারণ বাজারে এতোদিন আম্রপালি আম শেষ হওয়ায় কথা। কিন্তু অতি লাভের আশায় কৃষকরা আম ছাড়েনি। শেষ সময়ে দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু সব মিলিয়ে কৃষক, আড়ৎদার, ব্যাপারি কেউ লাভবান হতে পারছে না। নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, যাদের বাগানে লেট ভ্যারাইটি আম আছে, শেষ সময়ে এসে তারা খুবই লাভবান হচ্ছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত