ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র উদ্বোধনের প্রস্তুতি সভা

উপ-কমিটি গঠন
তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র উদ্বোধনের প্রস্তুতি সভা

আগামী ২ সেপ্টেম্বর চালু হতে যাচ্ছে দেশের বহুল প্রতীক্ষিত তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র। চা নিলাম কেন্দ্র চালুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উত্তরাঞ্চলের চা শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পঞ্চগড়ে সমতল ভূমিতে চা চাষের সূচনা ঘটে। যা পরে উত্তরাঞ্চলের আরো কয়েকটি জেলায় চা চাষ সম্প্রসারিত হয়েছে। উৎপাদনের দিক দিয়ে দেশের দ্বিতীয় চা অঞ্চল পঞ্চগড়। চা শিল্পকে ঘিরে তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র চালু হচ্ছে পঞ্চগড়ে। তাই উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানটি বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য করতে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ১৭ আগস্ট জেলায় কৃষকলীগের অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আগামী ২ সেপ্টেম্বর দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র পঞ্চগড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হওয়ার কথা জানান রেলপথ মন্ত্রী ও পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আলহাজ মো. নুরুল ইসলাম সুজন। সেদিন রেলমন্ত্রী জানান, ২ সেপ্টেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম সুজন এমপি এ নিলাম কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন। সভায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান শেখ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আমিরুল হক খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু তোয়বুর রহমান ও পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জামিল চৌধুরী ডলার বক্তব্য রাখেন। এদিকে তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র পরিচালনার জন্য এরইমধ্যে ১২টি ব্রোকার হাউজ ও ৮টি ওয়্যারহাউজ আবেদন করেছে। এর মধ্যে পাঁচটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নিলাম কেন্দ্র স্থাপনে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও দিনাজপুর এই পাঁচটি জেলাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব অঞ্চলে ৯টি নিবন্ধিত ও ২১টি অনিবন্ধিত বড় চা বাগান (২৫ একরের বেশি) রয়েছে। এ ছাড়াও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৩৫৫টি। উত্তরের ৫ জেলায় ১২ হাজার ৭৯ একর সমতল ভূমিতে চা চাষ হচ্ছে। নিবন্ধিত এক হাজার ৩৬৮টিতে ১০ হাজার ২৪০ একর জমিতে চায়ের আবাদ হয়েছে। এসব চা বাগানে সাত হাজারের বেশি চা শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত